কাতার বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় এক মাস হলো। বিশ্বকাপ–বিরতি শেষে এখন শুরু হয়ে গেছে ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা। বিশ্বকাপের শিরোপা উদ্যাপন শেষ করে যাঁর যাঁর ক্লাবে ফিরেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্লাবে ফিরে কেমন করছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়েরা? বিশেষ করে ফরোয়ার্ড আর মিডফিল্ডাররা।
বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আর্জেন্টিনা মোট ম্যাচ খেলেছে সাতটি। টাইব্রেকার বাদ দিলে তারা গোল করেছে ১৫টি। এই ১৫ গোলের ৭টিই লিওনেল মেসির। আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ। এ ছাড়া একটি করে গোল আনহেল দি মারিয়া, এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও নাহুয়েল মলিনার।
পাওলো দিবালা, লাওতারো মার্তিনেজের মতো ফরোয়ার্ডরা অবশ্য বিশ্বকাপে গোল পাননি। তবে বিশ্বকাপ–বিরতি শেষে আবার গোলে ফিরেছেন দুজন। দিবালা ও মার্তিনেজ খেলেন ইতালিয়ান লিগ ‘আ’–তে। বিশ্বকাপের পর রোমার জার্সিতে মাঠে ফিরে এখন পর্যন্ত তিন গোল করেছেন দিবালা। ইন্টার মিলানের মার্তিনেজের গোলও বিশ্বকাপের পর তিনটি।
বিশ্বকাপে একটি গোল পাওয়া ম্যাক অ্যালিস্টার ব্রাইটনের হয়ে গোল করেছেন দুটি। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোল করা মেসি প্যারিসে ফিরেছেন একটু দেরিতে। ফেরার পর খেলা প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এরপর পিএসজির হয়ে আরও একটি ম্যাচ খেললেও গোল পাননি তিনি।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি গোল করা আলভারেজ গত বছরই রিভার প্লেট থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়েছেন। একই বছরে তিনি আবার রিভার প্লেটে ধারে খেলতে গেছেন। বিশ্বকাপের পর ধারের ক্লাবে ফিরে একটি গোল পেয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে একটি করে গোল পাওয়া দি মারিয়া, ফার্নান্দেজ ক্লাবে ফেরার পরও পেয়েছেন একটি করে গোল। এ ছাড়া বিশ্বকাপে গোল না পাওয়া মার্কোস আকুনিয়া, আনহেল কোরেয়া ও হুয়ান ফয়থ ক্লাবে ফিরে পেয়েছেন একটি করে গোল।