ম্যাচে একাধিকবার বচসায় জড়ান জুভেন্টাস ও সালেরনিতানার খেলোয়াড়রা।
ম্যাচে একাধিকবার বচসায় জড়ান জুভেন্টাস ও সালেরনিতানার খেলোয়াড়রা।

যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখলেন ৪ জন!

ম্যাচ যখন ৯৪ মিনিটে, তখনো কোনো লাল কার্ড নেই। কিন্তু পরের চার মিনিটের মধ্যেই যেন লাল কার্ডের মেলা বসল! এক এক করে লাল কার্ড দেখলেন ৪ জন! কাল রাতে ইতালিয়ান সিরি আ-তে পাগলাটে এই ঘটনার সাক্ষী হলো তুরিনের অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়াম।

ম্যাচটি ছিল জুভেন্টাস-সালেরনিতানার। গত মৌসুমে ১৭তম হওয়া সালেরনিতানার কাছে প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে যায় জুভেন্টাস। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫১ মিনিটে এক গোল শোধ করেন গ্লেইসন ব্রেমার।

মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল সমতা আনা দ্বিতীয় গোলটি পায় যোগ করা সময়ে (৯৩ মিনিটে), লিওনার্দো বোনুচ্চির সৌজন্যে। এরপর রেফারির লাল কার্ডের ঝড় শুরু হয় ৯৫তম মিনিটে আলকাদিউজ মিলিক গোল করলে।

জয়সূচক গোল করার আনন্দে জার্সি খুলে ফেলেন পোলিশ ফরোয়ার্ড মিলিক। আগেও একটি হলুদ কার্ড দেখা মিলিক জার্সি খোলার দায়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন, সেই সূত্রে লাল কার্ডও। মিলিকসহ জুভেন্টাস শিবির তখনো উল্লাসে মত্ত ৩ পয়েন্ট প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো বলে।

কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি জানায়, গোল হয়নি, অফসাইডে ছিলেন বোনুচ্চি। মাঠ, ডাগআউট আর গ্যালারিজুড়ে শুরু হয় হইহল্লা। গায়ে গা লাগানো ঝগড়া শুরু করেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা।

মিলিক গোলের আনন্দে জার্সি খুলে ফেলার পরই ঘটনা পরম্পরায় একের পর এক লাল কার্ড বের করতে থাকেন রেফারি।

হাতাহাতিও বেঁধে যায় সালেরনিতানার ফেদেরিকো ফ্যাজিও আর জুভেন্টাসের হুয়ান কুয়াদ্রাদোর মধ্যে। একসময় প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম ও চেলসির হয়ে খেলা দুই ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি মার্সেনারো। এ নিয়ে অ্যালেগ্রি প্রতিবাদ করলে তাঁকে দেখানো হয় আরেকটি লাল কার্ড।

সব মিলিয়ে লাল কার্ডময় এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয় স্টেডিয়ামজুড়ে। এরপরও অবশ্য আরও মিনিট তিনেক খেলা হয়। দুই দল আর গোল পায়নি। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলের সমতায়।

খেলা শেষে রেফারির চার লাল কার্ড নিয়ে অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেননি জুভেন্টাস কোচ, তবে কথা বলেছেন বাতিল হওয়া গোলটি নিয়ে, ‘একটা গোল বাতিল করা হয়েছে, এটাই ব্যাপার। আমি আসলে ভিডিওটা আবার দেখতে চাই। গোলের সময় সালেরনিতানার আন্তেনিও কান্দ্রেভা কর্নারের কাছাকাছি ছিল। এটা ভিডিওতে দেখা যায়নি। তার কারণে সবাই যদি অনসাইডে থাকে, তাহলে কী হবে?’

অ্যালেগ্রি অবশ্য রেফারির ওপর আস্থা রাখার কথাই জানিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা রেফারির ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। ফুটবলাররা হলেন খেলার প্রধান চরিত্র। ইতালিতে ১০ থেকে ১৫ জন ভালো রেফারি আছে।’
সালেরনিতানার বিপক্ষে ম্যাচটি চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের চতুর্থ ড্র। ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে জুভদের টেবিলে অবস্থান ৮ নম্বরে। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সালেরনিতানা আছে ১০ নম্বরে।