হ্যারি কেইনের গোল উদ্‌যাপন
হ্যারি কেইনের গোল উদ্‌যাপন

ইউরো বাছাই

কেইনের রেকর্ড, ৬২ বছর পর ইতালির মাটিতে ইংল্যান্ডের জয়

ইউরো বাছাইয়ের ঘটনাবহুল ম্যাচে ইতালিকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ২-১ গোলে জয়ের পথে দারুণ এক মাইলফলক গড়েছেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল এখন কেইনের। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৫৪ গোল করে চূড়ায় উঠার পথে কেইন পেছনে ফেলেছেন ওয়েইন রুনিকে (৫৩)।

ইতালিকে হারানোর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে ইউরোর ফাইনালে হারের প্রতিশোধও যেন নিল ‘থ্রি লায়নস’রা। ইতালির মাটিতে ১৯৬১ সালের পর এই প্রথম জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড।

মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ ৬ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে না হারার স্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইতালি। নাপোলির মাঠ ডিয়েগো আরামান্দো স্টেডিয়ামে এদিনও শুরুর কিছু সময় দাপট ছিল ইতালিরই। ম্যাচের ৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। যদিও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

শুরুর চাপ কাটিয়ে দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড। ১২ মিনিটে জুড বেলিংহামের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা। কিন্তু ১৩ মিনিটে আর পারেননি ইতালিয়ান গোলরক্ষক। বুকায়ো সাকার কর্নারে হ্যারি কেনের শট ব্যর্থ হলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান ডেক্লান রিচ।

গোল করার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিশদের হাতেই। কয়েকবার গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে যায় তারা, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় গোলটি ধরা দিচ্ছিল না। ইংল্যান্ডের সেই গোলটি আসে বিরতির আগমুহূর্তে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পাওয়া এই পেনাল্টি গোলটিতে নিজের নতুন মাইলফলক গড়েন কেইন। এর আগে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পথে পেনাল্টি মিস করেছিলেন কেইন। আর এবার পেনাল্টিতে গোল করে রুনিকে টপকে হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন লুক শ

বিরতির পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় ইতালি। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ইংল্যান্ডকে বেশ চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মাতেও রেতেগুই ইতালির হয়ে গোল করে ব্যবধান কমান। এক গোল শোধ করে ইতালির আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে।

৮০ মিনিটে লুক শ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ইংল্যান্ড আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আগ্রাসী ফুটবলে ম্যাচের শেষ দিকে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডের রক্ষণে হানা দেয় রবার্তো মানচিনির দল। তবে কোনো চেষ্টাই ঘরের মাঠে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আজ্জুরি মাঠ ছাড়তে হয় হারের হতাশা নিয়েই।