সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন ফুটবল মৌসুম সামনে রেখে খেলোয়াড়দের দলবদল শুরু হয়ে গেছে ১ জুন, চলবে আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। এরই মধ্যে ক্লাবগুলো ঘর গোছাতে শুরু করেছে। দলবদলে সবচেয়ে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে গত কয়েক মৌসুমের ব্যর্থতায় দিশাহারা আবাহনী লিমিটেডকে। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ক্লাবটি হানা দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। বিদায়ী মৌসুমে তিনটি টুর্নামেন্টেই রানার্সআপ মোহামেডান থেকে এখন পর্যন্ত চারজন ফুটবলার নেওয়া নিশ্চিত করেছে আবাহনী। তাঁরা হলেন ফরোয়ার্ড শাহরিয়ার ইমন, জাফর ইকবাল, সেন্টারব্যাক হাসান মুরাদ ও লেফটব্যাক কামরুল ইসলাম।
নিজের হাতে গড়া দল ভেঙে যেতে দেখে ব্যথিত মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ। তবে অন্য দল ভালো প্রস্তাব দিলে খেলোয়াড়েরা দল বদলাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আলফাজের তাই বিষয়টা না মেনে উপায় নেই, ‘এখন পর্যন্ত জানি, শাহরিয়ার ইমন, হাসান মুরাদ, কামরুল ইসলাম ও জাফর ইকবালকে নিয়ে নিয়েছে আবাহনী। কেউ অন্য দলে চলে গেলে কী করার আছে বলুন!’
দল গঠন নিয়ে আবাহনীর কর্মকর্তারা সরাসরি কিছু না বললেও মোহামেডানের ঘর ভাঙার বিষয়ে ক্লাবের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মোহামেডানের চার খেলোয়াড় ইমন, মুরাদ, কামরুল ও জাফরকে আমরা নিশ্চিত করেছি।’
আবাহনীর বড় চমক অবশ্য তাঁরা নন, জাতীয় দলের গোলকিপার মিতুল মারমা। এই মুহূর্তে জাতীয় দলের পোস্টের নিচে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার প্রথম পছন্দ মিতুল, যিনি বিদায়ী মৌসুমে খেলেছেন শেখ রাসেলে। কয়েক মৌসুম ধরে শহিদুল আলম আবাহনীর পোস্ট আগলাচ্ছেন। কিন্তু বিদায়ী মৌসুমটা শহিদুলের বেশি বাজে কেটেছে। আবাহনী তাই নতুন গোলকিপার নিচ্ছে।
আবাহনীতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কাল লেবানন থেকে মিতুল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আবাহনী, মোহামেডানে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। আবাহনীতে এবার খেলব, বলতে পারেন একটা স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।’ দ্বিতীয় গোলকিপার হিসেবে আবাহনীতে দেখা যেতে পারে শেখ জামালের মাহফুজ হাসানকে।
শোনা যাচ্ছে, আবাহনী ছাড়তে পারেন সেন্টারব্যাক রিয়াদুল হাসান। আর টানা ৫ বারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের লেফটব্যাক ইয়াছিন আরাফাত আবাহনীতে যাচ্ছেন বলে খবর। কিংস থেকে স্ট্রাইকার মতিন মিয়াকেও আবাহনী নিচ্ছে বলে গুঞ্জন থাকলেও এর সত্যতা মেলেনি। কিংসের এক কর্মকর্তার দাবি, নিয়মিত না খেলা মতিন মিয়া ও ইয়াছিন আরাফাতকে তাঁরা ছেড়ে দিচ্ছেন। মতিন যেতে পারেন শেখ রাসেলে। শেখ জামালের ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদকে নিয়ে আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী করতে চাইছে কিংস, এমনটাই জিনিয়েছেন কিংসের এক কর্মকর্তা।