ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লেখান, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। সেই সময় ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তরুণ রোনালদোর পিঠে চাপিয়ে দিয়েছিলেন ক্লাবটির সবচেয়ে ‘ভারি’ ৭ নম্বর জার্সিটি, যেটি তাঁর আগে পরেছিলেন জর্জ বেস্ট-এরিক ক্যান্টোনার মতো ক্লাব কিংবদন্তিরা।
২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান রোনালদো। এর আগে ইউনাইটেডে যে ৬ বছর কাটিয়েছেন, তার মধ্যে ৭ নম্বর জার্সিটাকে যেন আরও আইকনিক বানিয়ে ফেলেছেন। রিয়ালেও তিনি এই জার্সিটাই পরেছেন এবং পরে ইতালির জুভেন্টাস আর সৌদি আরবের আল নাসরেও তা–ই। ৭ নম্বর জার্সিটা যেন নিজের নামের সমার্থক বানিয়ে ফেলেছেন রোনালদো। তাঁর অনেক পরিচয়ের একটি হয়ে ওঠে ‘সিআর সেভেন’।
রিয়ালে এমবাপ্পে কত নম্বর জার্সি পাবেন—এটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রোনালদোকে টেনে আনা কেন? কারণ, এমবাপ্পেও যে ৭ নম্বর জার্সির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একজন। ২০১৮ সালে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর থেকে যে ৭ নম্বর জার্সিটা গায়ে তুলেছেন, এখন পর্যন্ত এটাই পরছেন।
কিন্তু রিয়ালে এই জার্সিটা এমবাপ্পে পাবেন কি না নিশ্চিত নয়। সেখানে ৭ নম্বর জার্সিটি পরছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। আর রোনালদোর রেখে যাওয়া ৭ নম্বর জার্সিটার মান ভালোভাবেই রেখেছে চলেছেন রিয়ালের অন্যতম সেরা তারকা।
তাহলে রিয়ালে ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে কত নম্বর জার্সি পরবেন? স্পেনের সংবাদমাধ্যমের খবর, রিয়ালে এমবাপ্পে পেতে যাচ্ছেন ১০ নম্বর জার্সি। তার আগে রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি উঠেছিল আরেক কিংবদন্তি হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাসের গায়ে। আর এখন রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সি পরেন ক্রোয়াট তারকা লুকা মদরিচ।
৭ নম্বর জার্সি না পাওয়া নিয়ে এমবাপ্পের অবশ্য কোনো অভিযোগ থাকার কথা নয়। জিদানের এই উত্তরসূরি যে ফ্রান্স দলে ১০ নম্বর জার্সিটাই পরেন।