পেনাল্টি নেন বাঁ পায়ে, বক্সের আশপাশ বা ভেতর থেকে গোলে শট নেন বাঁ পায়ে, ফ্রিক-কিকও করেন বাঁ পায়ে। ড্রিবলিংয়ে দুর্দান্ত, অসাধারণ একজন বল-প্লেয়ার তিনি। লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ মিল। এ কারণে ব্রাজিলের ফুটবলপ্রেমীরা এস্তেভাও উইলিয়ানকে আদর করে ডাকেন ‘ছোট মেসি’ বলে।
বয়স মাত্র ১৬ বছর। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসে খেলেন। পালমেইরাসের মূল দলের হয়ে একটি ম্যাচই খেলেছেন উইলিয়ান। সদ্য শেষ হওয়া ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মৌসুমে সেটিই শেষ পালমেইরাসের শেষ ম্যাচ।
পালমেইরাসের মূল দলে অভিষেক হওয়ার আগেই অবশ্যর উইলিয়ানের দিকে হাত বাড়িয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো। আর্থিক অনটনের কারণে আসল মেসিকে ছেড়ে দেওয়া বার্সেলোনা ছোট মেসিকে দলে ভেড়াতে চায়।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির সাবেক ক্লাবের সঙ্গে ছোট মেসিকে পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, পিএসজি আর ম্যানচেস্টার সিটিও। শেষ পর্যন্ত ছোট মেসিকে হয়তো পাওয়া হবে না বার্সার। কারণ, তাঁর যে রিলিজ ক্লজ, সেই অর্থ দিয়ে তাঁকে নেওয়ার অবস্থা বার্সেলোনার নেই।
১৬ বছর বয়সী এই বিস্ময়বালকের রিলিজ ক্লজ ৬ কোটি ইউরো নির্ধারণ করেছে পালমেইরাস। এর আগে উইলিয়ান ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বার্সার জার্সি গায়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাঁর বাবাও সেই সময় বলেছিলেন, তিনি চান ছেলে বার্সেলোনার প্রতিনিধিত্ব করুক।
কিন্তু গত অক্টোবরে ইউরোপ সফর করে গেলেও বার্সার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেননি উইলিয়ানের বাবা। তিনি চেলসি, ম্যান সিটি ও পিএসজিতে ঘুরে গেছেন, তা উইলিয়ান শেষ পর্যন্ত ইউরোপের যে ক্লাবেই যান না কেন, সেটা ২০২৫ সালের আগে হচ্ছে না। ২০২৫ সালে তাঁর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে।
এর আগে পালমেইরাস হয়তো ২০২৪ সালে উইলিয়ানকে মূল দলে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ দেবে। সেখানে তিনি ভালো করতে পারলে তাঁকে চড়া দামেই বিক্রি করতে পারবে পালমেইরাস।