দুজন একই কাজ করছেন, অথচ পুরুষের তুলনায় নারী বেতন কম পাচ্ছেন—এমন ঘটনা বিশ্বে কম নয়! পারিশ্রমিকের এই বৈষম্য নিয়ে কালে কালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন-সংগ্রাম কম হয়নি। সমান অধিকার আর সমান বেতনের দাবি নিয়ে খেলার জগতেও আছে আন্দোলন আর অনাস্থা। কারণ, বৈষম্য যে এখানেও আছে।
সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সুইজারল্যান্ডের নারী ফুটবলার অ্যালিশা লেম্যান। এ বছরই অ্যাস্টন ভিলা থেকে জুভেন্টাসে নাম লেখানো লেম্যান পুরুষ ও নারী ফুটবলারদের বেতনের বৈষম্য কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না। এটাকে তিনি বলছেন অন্যায়।
বৈষম্য কতটা, তা দেখাতে লেম্যান টেনে এনেছেন তাঁর প্রেমিক দগলাস লুইসের সঙ্গে তাঁর বেতনের পার্থক্য। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অ্যাস্টন ভিলায় খেলেছেন লেম্যানের মতোই এ বছরই জুভেন্টাসে নাম লেখানো দগলাস। আর লেম্যান অ্যাস্টন ভিলায় নাম লেখান ২০২১ সালে।
দুজনের বেতনের বৈষম্যের বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী লেম্যান বলেছেন, ‘আমি তারকা নই, সাধারণ মানুষ। আমি বাড়ি যাই, রান্না করি, সবাই যা করে, আমিও তা–ই করি। ট্রেনিং শেষে আমি প্রায়ই দগলাসকে বলি যে এটা অন্যায়। আমরা একই কাজ করি, কিন্তু সে আমার চেয়ে ১ লাখ গুণ বেশি (বেতন) পায়।’
জুভেন্টাসে দগলাস ও তাঁর প্রেমিকা লেম্যানের বেতন কত বা অ্যাস্টন ভিলাতেই কত ছিল, সেটা জানা যায়নি। তবে জুভেন্টাস দগলাসকে দলে ভেড়াতে ৫ কোটি ইউরো খরচ করেছে। লেম্যানকে নিতে সেখানে তাদের দিতে হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার ইউরো।