বিশ্বকাপ ফুটবলে ইসরায়েল থেকে বিমানে সরাসরি কাতারে যাওয়া যাবে। ইসরায়েল থেকে সরাসরি এই বিশেষ ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে কাতার। ফিফা কাল এ বিষয়ে জানিয়েছে, সরাসরি এই ফ্লাইটে করে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে পারবেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রাজনৈতিকভাবে চিরবৈরী। তাই একই ফ্লাইটে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা কীভাবে কাতারে যাবেন, এ নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। এই ফ্লাইট চালুর বিষয়ে হওয়া চুক্তির শর্তাবলিও বিশদ জানাতে পারেনি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এই বিশেষ ফ্লাইট চালু করা নিয়ে বলেছেন, ‘এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ভিত তৈরি হলো। এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকেরা একই ফ্লাইটে কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করতে পারবেন।’
তবে ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিশেষ ফ্লাইট ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তাব্যবস্থার আওতাভুক্ত’ থাকবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ অবশ্য এই চুক্তিকে স্বাগত জানালেও ফ্লাইটে যে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও যাবেন, তা উল্লেখ করেননি নিজের বিবৃতিতে।
কাতারি সরকারের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘ইসরায়েলিদের জানানো হয়েছে, এই সময় গাজা, জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চুক্তি বাতিল হতে পারে, যার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিসও আছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিসকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তা ‘মানুষে মানুষে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।’
কূটনৈতিক সূত্র মারফত এএফপি জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকেরা কাতার বিশ্বকাপে খেলা দেখার টিকিট কিনেছেন। বিশ্বকাপ আয়োজনের চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দেশের ভক্তকেই দেশে ঢুকতে না করতে পারবে না কাতারের প্রশাসন। ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে এই ফ্লাইট চালুর জন্য ফিফাকে মাসের পর মাস ‘দেনদরবার করতে হয়েছে’ বলে এএফপিকে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র। কাতারের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্বকাপ চলাকালে কাতারে অবতরণের বিশেষ অধিকার থেকে একটি বিমানের মাধ্যমে এই ফ্লাইট সেবা পরিচালনা করা হবে।’ এই ফ্লাইটে যাঁরা যাবেন, তাঁদের কাছে অবশ্যই বিশ্বকাপে ম্যাচের টিকিট এবং দর্শকদের জন্য কাতারের দেওয়া বিশেষ ছাড়পত্র থাকতে হবে।