গত মৌসুম করিম বেনজেমা কাটিয়েছিলেন স্বপ্নের মতো। ব্যালন ডি’ অরের দৌড়ে বেনজেমার তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ছিল না। এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। বেনজেমা নিজেও এত দিন চোটের সঙ্গে লড়েছেন, ফর্ম হারিয়ে খুঁজেছেন।
তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আবারও ব্যালন ডি’অরের আলোচনায় ফরাসি তারকা। বেনজেমার ব্যালন ডি’অর ধরে রাখা অসম্ভব কিছু নয় বলেই মনে করেন রিয়াল কার্লো আনচেলত্তি।
সব মিলিয়ে গত মৌসুমে বেনজেমা ৪৬ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৪৪টি, করিয়েছিলেন ১৫টি। লা লিগায় ৩২ ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ২৭টি আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১২ ম্যাচে করেছিলেন ১৫টি গোল। রিয়াল মাদ্রিদও জিতেছিল লিগ শিরোপা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। তাই দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স—কোনো নিরিখেই বেনজেমাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জিতে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে এগিয়ে আছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়লেও বিশ্বকাপ জয় মেসিকে এই পুরস্কার পেতে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে তা বলাই যায়।
এই মৌসুমে বেনজেমার গোল ২৫টি, করিয়েছেন আরও ৬টি গোল। চোটের কারণে খেলতে পারেননি বিশ্বকাপে। তবে চোট কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরছেন এই ফরাসি তারকা। বেনজেমা ব্যালন ডি’অর ট্রফি ধরে রাখতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে হয়তো সে কারণেই আনচেলত্তি বলেছেন, ‘কেন নয়? সে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার, ফরোয়ার্ড নয় আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলারের কথা বলেছি। সে যখন ফিট থাকে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’
বার্সার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার আগের ম্যাচে রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা। পুরো মৌসুমে চোটের সঙ্গে লড়া এই ফরাসি তারকা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েই সফল হয়েছেন বলে মনে করেন আনচেলত্তি, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে বেনজেমা যে কাজটা করেছে, সেটাই তাকে সহায়তা করছে। ও আবার নিজের সেরা ফিটনেসে পৌঁছেছে। ওর যে সামর্থ্য আছে, ও যদি ফিট থাকে তাহলেই ওই সামর্থ্যটা পার্থক্যটা গড়ে দেয়।’