এখনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো যেভাবে বলছে, তাতে মনে হচ্ছে জাবি আলোনসোর লিভারপুলের কোচ হওয়া সময়ের ব্যাপার। জাবি লিভারপুলের কোচ হলে ইয়ুর্গেন ক্লপের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ক্লপ লিভারপুলকে শীর্ষস্থানীয় সব শিরোপা জিতিয়েছেন। তাই নতুন যিনিই আসুন, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়া সহজ কাজ নয়। তবে জাবির প্রতি হয়তো ভরসা রাখাই যায়! কিংবদন্তি ক্লপ জাবি সম্পর্কে যা বললেন, তাতে তাঁর ভরসাও যে জাবির প্রতি আছে, সেটা আন্দাজ করা যায়।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লিভারপুলের হয়ে খেলেছেন জাবি। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, এফএ কাপ, সুপার কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড। এরপর খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নেও। কোচ হিসেবে জাবি লেভারকুসেনের দায়িত্ব নেন ২০২২ সালে।
চলতি মৌসুমে জাবির দলকে এখন পর্যন্ত হারাতে পারেনি কোনো দল। ইউরোপিয়ান দলগুলোর মধ্যে তারাই একমাত্র দল, যারা এ মৌসুমে এখনো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অপরাজিত। চলতি মৌসুমে লেভারকুসেন আছে বুন্দেসলিগার শীর্ষে, টানা ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের চেয়ে এগিয়ে ৫ পয়েন্টে। এ ছাড়া জার্মান কাপের সেমিফাইনাল ও ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতেও উঠেছে তারা।
জাবির প্রশংসা করে ক্লপ বলেছেন, ‘কত দ্রুত সে দলে সঠিক সমন্বয় তৈরি করেছে। দলে সে যথাযথ ছাপ রেখেছে। পরবর্তী প্রজন্ম এরই মধ্যে চলে এসেছে। আমি বলব, জাবি এই বিভাগে আলাদা একজন। সে বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল, কোচিং পরিবার থেকে এসেছে, যেটা কিছুটা সাহায্য করে। খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সে কোচের মতো ছিল।’
ক্লপ যোগ করে বলেছেন, ‘সে যে ফুটবলটা খেলছে, যেভাবে দল গড়েছে, যেসব দলবদল করেছে, এটা আসলেই ব্যতিক্রমী। আপনি যদি ডাইনোসর চান, কার্লো আনচেলত্তি, জোসে মরিনিও, পেপ গার্দিওলা, আমি—আমরা আগামী ২০ বছর ধরে কোচিং করাব না। মরিনিও করাতে পারেন, বাকিরা নয়।’
১০ ফেব্রুয়ারি বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটিকে জাবির জন্য ‘অডিশন’ বা পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে দেখছিলেন অনেকে। ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছিল, এই ম্যাচে লেভারকুসেনের পারফরম্যান্সের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল আলোনসোর লিভারপুল-ভাগ্য। সেই পরীক্ষায় দারুণভাবে উতরে গেছেন আলোনসো। বায়ার্নকে তারা হারায় ৩-০ গোলে। শেষ পর্যন্ত লেভারকুসেন ছেড়ে জাবি পুরোনো দল লিভারপুলে আসেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।