ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড খেলছেন চেলসির হয়ে, একবার ভাবুন তো! আপাতত এটাকে একেবারে অসম্ভব মনে হলেও সম্ভব হলেও হতে পারত। কারণ, এই হলান্ডকে দলে নিতে চেয়েছিলেন চেলসির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তবে ইচ্ছা থাকলেও চেলসির কর্তাব্যক্তিরা একমত না হওয়ায় নওরেজিয়ান তারকাকে দলে নিতে পারেননি ল্যাম্পার্ড।
ঘটনাটা চার বছর আগের। ২০১৯ সালে প্রথম দফায় যখন চেলসির কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তখনো হলান্ড ঠিক এই ‘হলান্ড’ হয়ে ওঠেননি। খেলতেন অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গের হয়ে। প্রাক্–মৌসুম প্রীতি ম্যাচে তখন হলান্ডকে দেখেই মনে ধরেছিল ল্যাম্পার্ডের।
সে সময়ের কথা মনে করে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে চেলসি কোচ বলেছেন, ‘ফুটবলার হিসেবে হলান্ডকে আমি অনেক সম্মান করি। যখন প্রথমবার চেলসির দায়িত্ব নিই, তখন আমি ওকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। হলান্ডকে এখানে নিয়ে আসার জন্য আমি বেশ আগ্রহী ছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। আমাদের বিপক্ষে সে সালজবুর্গের হয়ে খেলেছিল।’
সালজবুর্গ থেকে হলান্ডকে কিনে নেয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপর ৬ কোটি ইউরো (৭০২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) রিলিজ ক্লজে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসেন হলান্ড। আর সিটিতে এসে চলতি মৌসুমে হলান্ড কী করছেন, সেটা তো সবারই জানা। একের পর এক রেকর্ড ভেঙে প্রিমিয়ার লিগের নতুন ইতিহাস লিখে চলেছেন এই স্ট্রাইকার। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হলান্ডের গোল এখন ৫২টি, এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই ৩৬টি।
মজার ব্যাপার হলো লিগে হলান্ডের সমান এই ৩৬টি গোল করেছে চেলসির পুরো স্কোয়াড। সিটি যখন ছুটছে ট্রেবল জিততে, তখন লিগে পয়েন্ট তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান চেলসির।
হলান্ডকে দলে না নিতে পারার আক্ষেপ নিয়েই ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘জানি না আদৌ সে আসত কি না, তবে আমি ওর বড় ভক্ত ছিলাম। এমন অনেক কিছু আছে, যা মানুষ জানে না, পুরো বিষয়টা অন্য রকমও হতে পারত। আমি জোর দিয়েই হলান্ডকে চেয়েছিলাম। তবে ক্লাবের কী চাহিদা ছিল, তা আমি জানি না। ওকে নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা অনেক বেশি ছিল, কারণ ও একজন অসাধারণ ফুটবলার।’