দলবদলের বাজারে এবার কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢেলেছে চেলসি। স্কোয়াড শক্তিশালী করতে খরচ করেছে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে আর কোনো ক্লাব দলবদলের এক মৌসুমে এত টাকা খরচ করেনি। এর মধ্যে শুধু রক্ষণভাগেই ১৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরো ঢেলেছে চেলসি। কিন্তু এত কিছু করেও চেলসিতে নিজের শততম ম্যাচ জয়ে রাঙাতে পারেননি কোচ টমাস টুখেল। চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব দিনামো জাগরেবের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে টমাস টুখেলের দল।
চলতি মৌসুমে রক্ষণভাগে এত টাকা খরচ করার পরও উন্নতির ছাপ নেই। প্রিমিয়ার লিগে এভারটনে বিপক্ষে ম্যাচটা বাদ দিলে প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করেছে চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগেও তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে শুরুতেই গোল খেয়েছে টুখেলের দল।
গতকাল টুখেলের অধীন ১০০তম ম্যাচটা খেলেছে চেলসি। এর মধ্যে প্রথম ৫০ ম্যাচে খেয়েছে মাত্র ২৪ গোল, পরের ৫০ ম্যাচে ৫৩ গোল। টুখেলের জন্য এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে বিব্রতকর।
প্রিমিয়ার লিগে খেলা ৬ ম্যাচের ৩টিতেই পয়েন্ট খুঁইয়েছে চেলসি। আছে পয়েন্ট তালিকার ৬ নম্বরে। রক্ষণভাগ গোল খাচ্ছে, সঙ্গে রাহিম স্টার্লিং, কাই হাভার্টজদের নিয়ে গড়া চেলসির আক্রমণভাগও গোল করার বেলায় নিজেদের সেরাটা দিতে পারছে না। তাই তো দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে টুখেল সরাসরি বলেই দিয়েছেন, চেলসির কিছুই ঠিক নেই। ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টসকে টুখেল বলেন, ‘অনেক কিছু নিয়েই ভাবা দরকার। আমিও এই সমস্যার একটা অংশ। যেখানে থাকা উচিত, যেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে, আমরা অবশ্যই সেখানে নেই। এটা আমার এবং আমাদের দায়িত্ব। সবাই মিলে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এই মুহূর্তে কিছুই ঠিক নেই।’
দিনামোর বিপক্ষে মাত্র ১৩ মিনিটে দুই পাসের প্রতিআক্রমণে গোল হজম করে চেলসি। অথচ গোল খাওয়ার আগে প্রতিপক্ষকেই উল্টো চাপে রেখেছিল চেলসি। তারপরও গোল আদায় করতে না পারায় হতাশ টুখেল, ‘সব সময়ের মতো একই সমস্যা হচ্ছে। মোটামুটি ভালো শুরু করেছিলাম, তবে অর্ধেক সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথম ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই আমরা খেলা শেষ করে দিতে পারতাম, সেটা পারিনি। এরপর প্রতিআক্রমণে আমরা গোল খেয়েছি, আর সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি।’
চেলসির পরের ম্যাচটা প্রিমিয়ার লিগে, ফুলহামের বিপক্ষে।