নঁতের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন দি মারিয়া
নঁতের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন দি মারিয়া

ইউরোপা লিগ

দি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে শেষ ষোলোয় জুভেন্টাস

নঁত ০ : ৩ জুভেন্টাস

জুভেন্টাস খেলোয়াড়েরা আবেদন করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি রেফারি। কিন্তু রাতটা যখন আনহেল দি মারিয়ার নামে অনেক আগেই লেখা হয়ে গেছে, তখন তাঁকে হতাশ করার সাধ্য কার!  

দি মারিয়া প্রযুক্তিকে পাশে পেয়েছেন। গোললাইন প্রযুক্তিতে স্পষ্ট দেখা গেছে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকার জোরালো হেডে নঁতের গোলরক্ষক আলবান লাফোঁ বল নিয়ে নিজেদের গোললাইন অতিক্রম করেছেন।

রেফারি এবার গোলের সংকেত দিতেই হাত দুটো শুধু উঁচিয়ে ধরেন দি মারিয়া। তাঁর সাদামাটা উদ্‌যাপন দেখে মনে হচ্ছিল দলের জন্য তেমন কিছুই করেননি। কিন্তু উদ্‌যাপন যে সবসময় পারফরম্যান্স জানান দেয় না, সেটা দি মারিয়ার শারীরিক ভাষাতে ফুটে উঠেছে। বাস্তবে, সেটা ছিল আর্জেন্টাইন তারকার তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধেই দলকে দুবার এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

জুভেন্টাসের হয়ে দি মারিয়ার প্রথম হ্যাটট্রিকে ঘরের মাঠে ৩–০ ব্যবধানে উড়ে গেছে ফরাসি ক্লাব নঁত। সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে পিএসজির হয়ে ফরাসি কাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা।  

গত সপ্তাহে দুই দলের প্রথম লেগ ১–১ সমতায় শেষ হয়েছিল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪–১ অগ্রগামিতায় উয়েফা ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় উঠে গেছে জুভেন্টাস। আজ বিকেলে এই রাউন্ডের ড্র শেষে জানা যাবে ইতালিয়ান পরাশক্তির পরবর্তী প্রতিপক্ষের নাম।

দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করায় জানুয়ারিতে জুভেন্টাসকে ১৫ পয়েন্ট জরিমানা করে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। এক নিমেষে সিরি ‘আ’–এর পয়েন্ট তালিকার তিন থেকে দশে নেমে যায় তুরিনের বুড়িরা। জানুয়ারি জুড়ে সেটা প্রভাব ফেলেছিল তাদের খেলাতেও। সেই দলটাই ফেব্রুয়ারিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সব প্রতিযোগিতায় রয়েছে অপরাজিত।   

নঁতের বিপক্ষে প্রথম লেগে অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন দি মারিয়া। প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। সতীর্থরাও ম্যাচ বের করতে পারেননি।

তবে এ দিন জুভদের পরের ধাপে তোলার দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন দি মারিয়া। পছন্দের পজিশন ডান উইং ছেড়ে খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। তাঁর সামনে ছিলেন শুধু মোইস কিন। যদিও দি মারিয়ার খেলা দেখে মনে হয়েছে তিনিই দলের মূল স্ট্রাইকার।  

নঁতের মাঠ স্তাদে দি লা বুজোয়ায় খেলা দেখতে আসা ৩৫ হাজার সমর্থককে পঞ্চম মিনিটেই স্তব্ধ করে দেন দি মারিয়া। স্বাগতিক সেন্টার ব্যাক জ্যা–চার্লস কাস্টেলেত্তোর ভুলে বল পেয়ে যান জুভেন্টাসের নিকোলো ফাজিওলি। পাস বাড়ান দি মারিয়া। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের মুখে ঢুকেই বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে যে গোলটি করেন, ফুটবলপ্রেমীরা তা অনেক দিন মনে রাখতে বাধ্য।

প্রথম গোলে ফাজিওলির অবদান থাকলেও দ্বিতীয় গোলটা শুধুই দি মারিয়ার। ১৭ মিনিটে তাঁর নেওয়া শট রুখে দেন নঁত গোলরক্ষক লাফোঁ। বল আবার আসে দি মারিয়ার পায়ে। আর্জেন্টাইন তারকার নেওয়া ফিরতি শট নিজেদের বক্সে হাত দিয়ে ঠেকান নঁত অধিনায়ক নিকোলাস পালোইস। লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি তাঁকে মাঠ ছাড়া করার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান ২–০ করেন দি মারিয়া। দশজনের নঁত কার্যত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।

প্রথম গোলে ফাজিওলির অবদান থাকলেও দ্বিতীয় গোলটা শুধুই দি মারিয়ার। ১৭ মিনিটে তাঁর নেওয়া শট রুখে দেন নঁত গোলরক্ষক লাফোঁ। বল আবার আসে দি মারিয়ার পায়ে। আর্জেন্টাইন তারকার নেওয়া ফিরতি শট নিজেদের বক্সে হাত দিয়ে ঠেকান নঁত অধিনায়ক নিকোলাস পালোইস। লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি তাঁকে মাঠ ছাড়া করার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান ২–০ করেন দি মারিয়া। দশজনের নঁত কার্যত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।

দি মারিয়ার গোল উদ্‌যাপন

বিরতির আগেই আরও দুই গোল পেতে পারত জুভেন্টাস। তবে আদ্রিয়ান রাবিও এবং ফিলিপ কসতিচকে হতাশ করেন লাফোঁ।

দ্বিতীয়ার্ধে হুয়ান কুয়াদ্রাদোর চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন লাফোঁ। কিন্তু দি মারিয়া ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বাঁ প্রান্তে নেওয়া বাঁকানো শট, ডান কোণায় মাপা পেনাল্টি শটের পর চমৎকার এক হেড—নিখুঁত হ্যাটট্রিকটা তাঁর প্রাপ্যই ছিল।