ভিন্ন জার্সিতে কেইনের চেনা উদ্‌যাপন
ভিন্ন জার্সিতে কেইনের চেনা উদ্‌যাপন

বুন্দেসলিগায় অভিষেকেই ‘দ্বিতীয়’ হলেন কেইন

বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন হ্যারি কেইন। জার্মান সুপার কাপের সে ম্যাচে কেইন চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি। কেইনের প্রথম শিরোপার জেতার সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে আক্ষেপের কথা বলেছিলেন বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। বলেছিলেন, কেইনের জন্য তাঁর খারাপ লাগছে

তবে সুপার কাপে না পারলেও বুন্দেসলিগা অভিষেকে ঠিকই পেরেছেন কেইন। লিগে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল করে বার্তা দিয়েছেন ইংলিশ তারকা। গোল করার পাশাপাশি মাঠের খেলাতেও আলো ছড়িয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ওয়ের্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে দলের ৪-০ গোলের বড় জয়ে একটি গোল করার পাশাপাশি অন্য এক গোলে সহায়তাও করেছেন এই স্ট্রাইকার।

দলবদলের শুরু থেকেই কেইনকে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামে বায়ার্ন। অন্যদিকে টটেনহাম চেয়েছিল কেইনকে যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে। একে একে তিনবার তারা ফিরিয়ে দেয় বায়ার্নের প্রস্তাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে টটেনহাম ছেড়ে কেইন আসেন বায়ার্নে। মূলত, আগের মৌসুমে রবার্ট লেভানডফস্কি বার্সেলোনায় যাওয়ার পর স্কোরিংয়ে শূন্যতা দেখা দিয়েছিল বায়ার্নের।

সেই ঘাটতি মেটাতেই কেইনকে নিয়ে আসা। ঘরোয়া লিগে নিজের প্রথম ম্যাচেই তাঁর কাছ থেকে প্রতিদান দিলেন কেইন। ম্যাচের ৪ মিনিটেই তাঁর পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে গোল করেন লেরয় সানে। এদিন ম্যাচে জোড়া গোল করেন সানে। আর ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আলফানসো ডেভিসের কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। এই গোলের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে বুন্দেসলিগা অভিষেকেই গোল করলেন কেইন। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন হফেনহেইমের হয়ে রেইস নেলসন। বায়ার্নের হয়ে অন্য গোলটি আসে টমাস মুলারের কাছ থেকে।

দলের সঙ্গে কেইনের গোল উদ্‌যাপন

ম্যাচ শেষে কেইন জানান বুন্দেসলিগা অভিষেক নিয়ে তিনি কিছুটা স্নায়ুচাপেও ভুগছিলেন। যদিও মাঠের পারফরম্যান্সে সেটা বোঝা যায়নি। কেইন বলেছেন, ‘ম্যাচটা নিয়ে আমি অবশ্যই কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম এবং রোমাঞ্চিত ছিলাম।’ তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বলে জানান কেইন, ‘মাঠে নামার জন্য আমার তর সইছিল না। গোলে শুরুটা ভালোই হয়েছিল। এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা ভালো কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে ফিনিশিংটা ঠিকঠাক হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের ৫-১০ মিনিট তারা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করে তবে আমরা শান্ত ছিলাম। এরপর আমি দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করি। সব মিলিয়ে একেবারে নিখুঁত শুরু পেয়েছি আমরা।’

কেইন আসার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আসছেন বায়ার্ন কোচ টুখেল। কাল ম্যাচ শেষেও কেইনকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতা আড়াল করেননি এই জার্মান কোচ, ‘সে সব খেলোয়াড়কে আরও ভালো করে তুলছে। তারা দেখছে সে মাঠের খেলায় কতটা মনোযোগী।’