ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ব্যালন ডি’অর পাচ্ছেন না নিশ্চিত হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে। কিন্তু প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলের জমকালো অনুষ্ঠানে আর্লিং হলান্ডের না যাওয়ার কারণ কী—এমন প্রশ্ন কেউ কেউ করতেই পারেন।
রিয়ালের ভিনিসিয়ুসকে পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন হলান্ডেরই ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ রদ্রি। হলান্ড নিজেও ছিলেন ৩০ জনের মনোনীত তালিকায়। নরওয়ের এই তারকা স্ট্রাইকার তবু প্যারিসে যাননি। নিজ দলের খেলা না থাকায় ঘরে শুয়ে-বসেও কাটাননি। তিনি গিয়েছিলেন সুইডেনের মালমোতে বন্ধু ও জাতীয় দলের সতীর্থ এরিক বোথিমের খেলা দেখতে, আরও স্পষ্ট করে বললে, বোথিমের শিরোপা জয় উদ্যাপন দেখতে।
ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে ক্লাব ফুটবলের ঘরোয়া মৌসুম মে থেকে জুনের মধ্যে শেষ হয়। কিন্তু সুইডেনে শীতকাল অন্য দেশগুলো তুলনায় অনেক লম্বা হওয়ায় তাদের শীর্ষ লিগ (অলস্ভেনস্কান নামে পরিচিত) শুরু ও শেষ হয় দেরিতে। সেই লিগে হলান্ডের বন্ধু বোথিম খেলেন মালমো এফএফ ক্লাবে।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা মালমোর লিগ শিরোপা জিততে ৩ পয়েন্ট দরকার ছিল। কাল রাতে নিজেদের মাঠে আইএফকে গোথেনবার্গকে ২-১ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সুইডেনের সফলতম এই ক্লাব। এটি তাদের ২৪তম লিগ শিরোপা।
বাবা আলফি হলান্ডকে নিয়ে পুরো ম্যাচ গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন আর্লিং হলান্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ম্যাচ চলাকালীন একাধিক ছবিও পোস্ট করেছেন প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে ১১ গোল করে ফেলা স্ট্রাইকার। একটি ছবিতে তাঁকে মালমোর জার্সি ও স্কার্ভস পরে থাকতে দেখা গেছে। জার্সিটিকে অনেকে ম্যানচেস্টার সিটির ভেবে ভুল করতে পারেন। কারণ, মালমো-ম্যানচেস্টার সিটি দুই দলেরই হোম জার্সি যে আকাশি নীল!
ম্যাচ শেষে বন্ধু বোথিমের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন হলান্ড। তবে প্যারিসে না গিয়ে সুইডেনে গেলেও ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ রদ্রির ব্যালন ডি’অর জয়ের খবর ঠিকই রেখেছেন হলান্ড। সোনার বলে রদ্রির চুম্বনের ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে হলান্ড স্প্যানিশ ভাষায় লিখেছেন, ‘এনহোরাবুয়েনা।’ এর অর্থ—অভিনন্দন।