ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উইঙ্গার আলেহান্দ্রো গারনাচো
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উইঙ্গার আলেহান্দ্রো গারনাচো

টেন হাগের সমালোচনা করা পোস্টে ‘লাইক’ দিয়ে বিপাকে গারনাচো

গত সেপ্টেম্বরে এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা একটি লেখার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে পড়েন জেডন সাঞ্চো। পরে জানুয়ারিতে তাঁকে ধারে খেলতে পাঠানো হয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। এবার কি একই ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন আলেহান্দ্রো গারনাচো? আর্জেন্টাইন তরুণ উইঙ্গার যে সেই এক্সেই দলের কোচ এরিক টেন হাগের সমালোচনা করা এক পোস্টে লাইক দিয়েছেন। ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একবার গারনাচোর সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছে।

ইউনাইটেড কোচের সমালোচনা করা পোস্টের বিষয়বস্তু ছিলেন গারনাচো নিজেই। গত শনিবার বোর্নমাউথের সঙ্গে ইউনাইটেডে ২-২ গোলে ড্র করা ম্যাচটির বিরতির সময় তুলে নেওয়া হয় ১৯ বছর বয়সী আর্জেন্টাইনকে। গারনাচোর পারফরম্যান্সের সমালোচনাও করেন টেন হাগ। এরপর এ ঘটনা নিয়ে এক্সে দুটি পোস্ট করেন ইউনাইটেডের ভক্ত ও ইউটিউবার মার্ক গোল্ডব্রিজ।

একটি পোস্টে টেন হাগকে অভিযুক্ত করা হয় নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গারনাচোকে ‘বাসের নিচে ছুড়ে ফেলার’ বা ক্ষতি করার। আরেকটি পোস্টে গোল্ডব্রিজ লেখেন, ‘প্রথমার্ধটা ভালো না কাটলেও তাঁকে (গারনাচোকে) বিরতির সময় তুলে নেওয়া ও তাঁকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করাটা একটা ফাজলোমা।’

বোর্নমাউথ ম্যাচে গারনাচো (ডানে)

এই দুই পোস্টেই লাইক দেন গারনাচো। তবে ভুল বুঝতে পেরে একটু পরেই ‘আনলাইক’ করেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়। তবে তাতে পাড় পাননি গারনাচো। পিএ নিউজ এজেন্সি ইউনাইটেডের এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ব্যাপারটা নিয়ে গারনাচোর সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছে তারা। তবে গারনাচোকে কী বলা হয়েছে, সেটি বলতে রাজি হননি সেই কর্মকর্তা।

এই মৌসুমে ইউনাইটেডের হয়ে যাঁরা ভালো খেলেছেন, তাঁদের অন্যতম গারনাচো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪২ ম্যাচ খেলে ৯টি গোল করা আর্জেন্টাইন গোল বানিয়ে দিয়েছেন চারটি।

এর আগে গত বছর আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে দলে জায়গা না পাওয়ার পর সাঞ্চো লিখেছিলেন, তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। তবে সানচোকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁর অপর্যাপ্ত অনুশীলনের কথা বলেছিলেন টেন হাগ।