বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

সাবিনাদের জয়ে চাপ বেড়ে গেল জামালদের

সাফ নারী ফুটবলে গতকাল ভারতকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সাবিনা খাতুনদের এমন জয়ে খুশি কাজী সালাউদ্দিন। জামাল ভূঁইয়াদের কাছ থেকেও আসন্ন দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচে জয় চান বাফুফে সভাপতি।

সেটাই আজ জামালকে বলেছেন তিনি, ‘তোমরা কম্বোডিয়া ও নেপালের সঙ্গে জিতলে আমরা খুশি হব।’ শুনে হেসে জামালের উত্তর, ‌‘ওদের জয়ে আমরা চাপে পড়ে গেছি। আমাদের এখন জিততেই হবে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া

আজ মধ্যরাতে কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে জামাল ভূঁইয়া ও কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সালাউদ্দিনের কক্ষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখনই সালাউদ্দিন বলেন, ‘মেয়েদের জয়ে জামালরা চাপে আছে। ওদের তো এখন জিতে দেখাতে হবে।’

একটা অলিখিত চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়ে গেলেন জামাল। তবে সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের আশায় ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া ও ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের লক্ষ্য জয়। সংবাদ সম্মেলনে কোচ ও অধিনায়ক দুজনই বলেছেন অভিন্ন সেই লক্ষ্যের কথা।

২০ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প নিয়ে কোচ-অধিনায়ক দুজনই খুশি। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বললেন, ‘গত চার বছরে সবচেয়ে কঠিন ক্যাম্প ছিল এটি। তবে কঠিন হলেও একই সঙ্গে তা ছিল ইতিবাচকও। আমরা ক্যাম্পে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। দুটি ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি।’ এরপর যোগ করেন, ‘আমি মনে করি, সব ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব ম্যাচেই চাপ থাকে। সব ম্যাচই একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা মাঠে সেরাটা দেব।’

ভারতকে হারানোর পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

এই দুটি ম্যাচ র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করার সুযোগ হিসেবেও দেখছেন জামাল। সেটা উল্লেখ করে নিজেই বলেন, ‘আমরা ৬ পয়েন্টের জন্য যাচ্ছি। আমাদের জেতার ভালো সুযোগ আছে। আমরা সব সময় ইতিবাচক এবং আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে।’ তাঁর মূল চিন্তা সেট পিচ নিয়ে। গত জুনে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ ৫-৬টি গোল খেয়েছে সেট পিচে। এটা মনে রেখে এই সফরে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আগামী ডিসেম্বরে ১১ মাসের চুক্তি শেষ হওয়ার আগে এটাই হতে পারে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে কোচ কাবরেরার শেষ সফর। তাই সফরটা তাঁর কাছে চাপ কি না, এমন প্রশ্নে তরুণ স্প্যানিশ কোচের কথা, ‘এটা চাপ নয়, দায়িত্ব। আমি চাপে নেই। আমি শান্ত আছি। আমরা এই দুটি ম্যাচের জন্য তৈরি।’

গত ৯ মাসের কাজে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘শুরু থেকেই আমি সেরাটা দিতে চেয়েছি। এখন সময় জেতার। আমরা এই সফরে জিততে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল ২৭ খেলোয়াড়কে। সেখান থেকে চোটের কারণে আগেই বাদ পড়েন মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। বাকি ২৫ জনের মধ্যে বাদ পড়েছেন ক্যাম্পে প্রথম ডাক পাওয়া মোহামেডানের মিডফিল্ডার শাহরিয়ার ইমন ও শেখ জামালের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাইম।

এই সফরে ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার আগে ১৯ সেপ্টেম্বর এই দুই দল একটি অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ খেলবে। ‌দর্শকহীন এই ম্যাচে জয়–পরাজয় রেকর্ডে থাকবে না।

কোনো দলের ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও তা প্রভাব ফেলবে না। হাতে সময় থাকায় ম্যাচটি খেলবে দুই দল। কম্বোডিয়া এমনই আরেকটি ম্যাচ খেলছে জাপান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে। মূলত নিজেদের প্রস্তুতির জন্যই এই ম্যাচ খেলছে কম্বোডিয়া। তবে অতীতে কখনো মূল ম্যাচের আগে এভাবে একই দলের সঙ্গে বাংলাদেশ এমন অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ খেলেছে কি না, মনে করা কঠিন।