নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে লিগে খেলা সর্বশেষ ম্যাচটি হেরেছিল আর্সেনাল। এটা খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। চলতি বছরের মে মাসে, লিগের শেষ ম্যাচের আগেরটি। কিন্তু ১৯৭৮ সালে ব্রায়ান কফের অধীনে টানা দুই ম্যাচে জেতার পর আর্সেনালের বিপক্ষে এই কীর্তি আর গড়তে পারেনি নটিংহাম।
এবারও সেই ভাগ্য বদলায়নি। গত মে মাসে লিগে আর্সেনালকে হারালেও এবার নিজেদের শুরুর ম্যাচেই গানারদের কাছে হেরে গেছে দলটি। আজ আর্সেনালের কাছে হেরেছে তারা ২–১ গোলে।
নটিংহাম যে জয়ের জন্য খেলেছে, ম্যাচ দেখে সেটা বলাও যাবে না। ম্যাচের শুরু থেকেই যেন রক্ষণে বেশি মনযোগী ছিল তারা। জমাট সেই রক্ষণ ভাঙার জন্য শুরু থেকেই মরিয়া আক্রমণ চালিয়ে যায় আর্সেনাল। অবশেষে তারা নটিংহামের রক্ষণ ভাঙতে পারে ম্যাচের ২৬ মিনিটে। আর্সেনালকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন এডি এনকেতিয়াহ।
বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় নটিংহামের দানিলোকে বোকা বানান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। পাস দেন তিনি দৌড়ে আসা এনকেতিয়াহকে। একটু ভেতরে ঢুকে দুর্দান্ত এক শট নেন তিনি। সেটা নটিংহামের এক খেলোয়াড়কে ছুঁয়ে হালকা দিক বদল করে ফাঁকি দেয় গোলকিপার টার্নারকে।
৬ মিনিট পরই দ্বিতীয় গোল পায় আর্সেনাল। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান বুকায়ো সাকা। কর্নার থেকে বল পেয়ে যান উইলিয়াম সালিবা। এক সতীর্থের সঙ্গে পাস বিনিময় করে বোকা বানান নটিংহামের রক্ষণকে। এরপর বল সালিবা বল দেন সাকাকে। ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে স্কোরলাইন ২–০ করেন এই উইঙ্গার।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি আর্সেনাল। নিজেদের আরও খোলসে আবৃত করে নেওয়া নটিংহামের রক্ষণ তারা ভাঙতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ বলের দখল ও গোলে ১৫টি শট নিয়েও। ১৫টি শটের শুধু ৭টিই অবশ্য লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন আর্সেনালের খেলোয়াড়েরা।
উল্টো খেলার ধারার বিপরীতে ৮২ মিনিটে গোল পেয়ে যায় নটিংহাম। এদিন ই–টিকেটিংয়ে ঝামেলার কারণে দর্শকদের মাঠে ঢুকতে দেরি হয়। যে কারণে ম্যাচ শুরু হয় ৩০ মিনিট দেরিতে।