ঘরের মাঠে এভারটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিটি।
ঘরের মাঠে এভারটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিটি।

হলান্ডের গোলের পরও জিততে পারল না সিটি

শেষটা আর প্রত্যাশামতো করতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। এভারটনের বিপক্ষে আর্লিং হলান্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জেতা হয়নি পেপ গার্দিওলার দলের। ঘরের মাঠে এভারটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিটি। এই ড্রয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল আর্সেনালের সঙ্গে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ব্যবধান দাঁড়াল চারে। সিটির এই পয়েন্ট খোয়ানো লিগ শিরোপা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ম্যাচের শুরুতেই চোটে পড়েছিলেন হলান্ড। তাঁর চোটে ২ মিনিট খেলা বন্ধও রাখতে হয়। হলান্ডের চোট হজম করে ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটে আক্রমণ করতে পারেনি সিটি। এরপর অবশ্য বেশি সময় নেয়নি পেপ গার্দিওলার দল। প্রত্যাশিতভাবেই আক্রমণের নায়ক হলান্ড, আর নেপথ্যে কেভিন ডি ব্রুইনা।

ম্যাচের ২৪ মিনিটের প্রথম গোল পায় সিটি। সে আক্রমণ শুরুটাও হয়েছিল ডি ব্রুইনার হাত ধরে, আর শেষটা করেছেন যথারীতি হলান্ড। এই দুজনের যোগসূত্র স্থাপনের কাজটা করেছেন জ্যাক গ্রিলিশ ও মাহরেজ। লিগে এটি হলান্ডের ২১ তম গোল। সব মিলিয়ে ২৭ তম।

পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে আছে সিটি

মজার ব্যাপার হলো, এই ম্যাচে হলান্ডের প্রতিপক্ষ এভারটন লিগে সব মিলিয়ে গোল করেছে ১৩ টি। অর্থাৎ হলান্ডের চেয়ে ৮ টি কম। গোল খাওয়ার পর নিজেদের গুটিয়ে নেয়নি এভারটন। সিটির ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে ফ্র্যাক ল্যাম্পার্ডের দল। ৪৫তম মিনিটে সিটি ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত ব্যবধান,তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটি।

দ্বিতীয়ার্ধে সিটি দাপুটে ফুটবল খেলতেই শুরু করে। তবে ৬৪ মিনিটে গোল করে এভারটনকে সমতায় ফেরান ডেমারাই গ্রে। সেটিই ছিল সিটির গোলপোস্টে তাদের প্রথম শট। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে ছুটে সিটির ডি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শট নেন গ্রে। শট নেওয়ার আগে কিছুটা পিছলে গিয়েছিলেন তিনি, তবে তাতে দমেননি গ্রে। গোল হজম করার পর আক্রমণের ধার বাড়ায় সিটি।

তবে এভারটন তাদের রক্ষণ আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামলাতে শুরু করে। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে মাহরেজের শট ঠেকিয়ে এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড দুর্দান্ত এক সেভ করেন। ৮৭তম মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভাকে তুলে ফিল ফোডেন ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী হুলিয়ান আলভারেজকে নামান গার্দিওলা। যোগ করা ১১ মিনিটেও এভারটনের দেয়াল ভাঙতে পারেননি হলান্ডরা।