নেশনস লিগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন পর্তুগাল জিততে পারেনি ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। তবে হোঁচট খেতে খেতে ঠিকই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন। আর র্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে নিচের দল স্যান মারিনো গড়েছে নতুন এক ইতিহাস।
উয়েফা নেশনস লিগে আগের ম্যাচে রবার্ট লেভানডফস্কির পোল্যান্ডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পর্তুগাল। সেদিন বাইসাইকেল কিকে দুর্দান্ত এক গোলসহ জোড়া গোল করেছিলেন রোনালদো। সেই ম্যাচের পরই জানানো হয়, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লিগ এ–এর গ্রুপ ১-এর শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকবেন রোনালদো।
তবে রোনালদোকে ছাড়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে পারল না পর্তুগাল। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে পর্তুগাল। প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে পর্তুগালের হয়ে গোল করেন জোয়াও ফেলিক্স, ৬৫ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইউস্কো গাভারদিওল।
এই ড্রয়ে অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না পর্তুগালকে। এরপরও ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেই শীর্ষে থাকল তারা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান দুইয়ে এবং ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে স্কটল্যান্ড।
রাতের অন্য ম্যাচে পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্কটিশরা।
পর্তুগালকে রুখে দেওয়ার পর ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার গাভারদিওল বলেছেন, ‘এটা আমাদের কাছে দুটো আলাদা ম্যাচ বলে মনে হয়েছে। প্রথমার্ধে আমাদের ক্লান্ত মনে হয়েছে, মনে হচ্ছিল পরিবর্তন দরকার। তবে দ্বিতীয়ার্ধ অনেক ভালো ছিল।’
উত্থান-পতনের রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ের পর নেশনস লিগের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে স্পেন। ৩২ মিনিটে পেনাল্টিতে পেদ্রি গোল করতে ব্যর্থ হলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঠিকই এগিয়ে যায় স্পেন, গোল করেন ইয়েরেমি পিনো। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকলেও ৬৩ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড।
৫ মিনিট পর আবার এগিয়ে যায় স্পেন। এবার স্পেনের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রায়ান গিল। অ্যান্ডি জেকিরির পেনাল্টি গোলে ৮৫ মিনিটে আবারও সমতায় ফেরে সুইসরা। এরপর ম্যাচ যখন সমতায় শেষ হওয়ার অপেক্ষায় তখন স্প্যানিশ–চমক। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় স্পেন। স্পটকিক থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-২ করে দলকে জয় এনে দেন ব্রায়ান জারাগোজা। ম্যাচ শেষে ২২ বছর বয়সী তরুণ উইঙ্গার পিনো বলেন, ‘ঘরের মাঠে দলের জয়ে গোল করা, এর বেশি আর কী চাইতে পারি!’
নেশনস লিগে ইতিহাস গড়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে নিচের দল স্যান মারিনো। লিখটেনস্টেইনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পরের ওপরের স্তরে উঠেছে র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ২১০ নম্বর দলটি। প্রতিপক্ষের মাঠে এটি দেশটির প্রথম জয়ও বটে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম একের অধিক গোলের কীর্তিও গড়ল দলটি। আর সব মিলিয়ে এটি তাদের ৩ গোল করা প্রথম ম্যাচ।
এই মুহূর্তে লিখটেনস্টেইনের জন্য স্যান মারিনো বিশেষ আতঙ্কের নামও বটে। দলটির আগের দুটি জয়ও র্যাঙ্কিংয়ের ২০০ নম্বরে থাকা এই দলটির বিপক্ষে। ২০০৪ সালে প্রীতি ম্যাচে হারানোর পর সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরেও ১-০ গোলে জিতেছিল স্যান মারিনো।