ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশের জন্য এমন ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন আইরিশ সমর্থকেরা
ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশের জন্য এমন ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন আইরিশ সমর্থকেরা

‘সাপগুলো ফিরে এসেছে’—গ্রিলিশ-রাইসের জন্য কেন এমন ব্যানার

‘সাপগুলো ফিরে এসেছে’
ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গেল এমন কথা লেখা বেশ কিছু ব্যানার। উয়েফা নেশনস লিগের ‘বি’ গ্রুপে সেই রাতে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ‘সাপগুলো’ বলতে কি তবে ইংল্যান্ড দলকে বুঝিয়েছেন আইরিশ সমর্থকেরা?
না, ইংল্যান্ডের সবাই নন, নির্দিষ্ট দুজন খেলোয়াড়ের উদ্দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল এমন ব্যানার। সেই দুই ‘সাপ’—জ্যাক গ্রিলিশ ও ডেকলান রাইস। কেন আইরিশ ফুটবল সমর্থকেরা এই দুই ইংলিশ খেলোয়াড়কে ‘সাপ’ মনে করেন, সেটার ব্যাখ্যা একটু দেওয়া যাক।

ম্যানচেস্টার সিটির উইঙ্গার গ্রিলিশের জন্ম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে হলেও তাঁর দাদা ও নানা দুজনই আইরিশ। গ্রিলিশের ছেলেবেলার অনেকটা সময় কেটেছে আয়ারল্যান্ডে, ফুটবলের প্রথম পাঠও সেখানে। আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭, ১৮ ও ২১ দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন। আসলে তাঁর আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের হয়েই খেলার কথা ছিল। তবে ২০১৫ সালে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের জন্মভূমি ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন। এটা আইরিশ ফুটবলপ্রেমীরা মেনে নিতে পারেননি। গ্রিলিশ তাঁদের চোখে হয়ে যান বিশ্বাসঘাতক, সেখান থেকেই তাঁকে ‘সাপ’ ডাকা শুরু।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুই গোলদাতা গ্রিলিশ ও রাইস


ডেকলান রাইসের গল্পটাও একই রকম। জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তাঁর বাবার দিকের পূর্বপুরুষেরা আইরিশ। আয়ারল্যান্ডে তাঁরও কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে। খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৭, ১৯, ২১ এমনকি জাতীয় দলের হয়েও তিনটি ম্যাচ। তবে একটা সময় এসে তিনিও মন বদলে ফেলেন এবং ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। গ্যারেথ সাউথগেটের দলে আর্সেনাল মিডফিল্ডারের অভিষেক হয় ২০১৯ সালে, নেশনস লিগে। সেই থেকে তিনিও আইরিশ সমর্থকদের চোখে আরেক ‘সাপ’।

শনিবার রাতের ম্যাচে তাই এই দুই খেলোয়াড়কেই দুয়ো দিয়েছেন আইরিশ সমর্থকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দুয়োগুলো তাঁদেরই হজম করতে হয়েছে। ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতেছে ২-০ গোলে।
ইংল্যান্ডের দুই গোলদাতার নাম শুনবেন? ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশ!