২০১৯–২০ মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কেটেছিল রবার্ট লেভানডফস্কির। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও জার্মান কাপ জিতেছে বায়ার্ন। তিনটি প্রতিযোগিতাতেই সর্বোচ্চ গোলদাতা লেভা। এমন পারফরম্যান্সের পর ফুটবল বিশ্বে বলাবলি হচ্ছিল—এবারের ব্যালন ডি’অর লেভানডফস্কি না পেয়ে যায় কোথায়! কিন্তু হায়, করোনাভাইরাসের কারণে সেবার ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী পুরস্কারটি দিলই না!
২০২০–২১ মৌসুমটাও অসাধারণ কেটেছে লেভার। কিন্তু গত বছর ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে ফুটবল বিশ্বে বিতর্কও কম হয়নি। ওই মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে একটি রেকর্ড গড়েছেন লেভা। গার্ড মুলারের ৩৯ গোল ছাড়িয়ে বুন্দেসলিগার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের (৪১ গোল) সেই রেকর্ড গড়ার পরও লেভাকে পুরস্কারটি না দিয়ে কেন মেসিকে দেওয়া হলো, এমন প্রশ্ন উঠেছে ফুটবল বিশ্বে।
এ মৌসুমে বায়ার্ন ছেড়ে বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছেন লেভানডফস্কি। ক্যাম্প ন্যুয়ে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে পোলিশ স্ট্রাইকার। কাতালান ক্লাবটির হয়ে ৮ ম্যাচ খেলে ১১ গোল করেছেন এখন পর্যন্ত। এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে মৌসুম শেষে এবারও হয়তো তাঁর গোলসংখ্যা ৪০–এর ওপরে থাকবে। এর সঙ্গে যদি লিগ বা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই—ব্যালন ডি’অর হয়তো অবশেষে ধরা দেবে লেভাকে!
বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পর ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ে লেভাও আশাবাদী। ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘আমি জানি বার্সেলোনা এমন একটি ক্লাব, যেটি সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতেছে।’ লেভা এরপর যোগ করেন, ‘বায়ার্নের চেয়ে বার্সেলোনায় আসায় ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে!’
১৯৫৬ সালে ব্যালন ডি’অর প্রবর্তনের বছর থেকে বার্সেলোনার ৬ জন খেলোয়াড় ১৩টি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। এর মধ্যে মেসি একাই জিতেছেন সাতবার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি ব্যালন ডি’অর গেছে রিয়াল মাদ্রিদে, জিতেছেন ৭ জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একাই জিতেছেন ৫টি।
লেভা এই হিসাব দেখিয়েছেন ঠিক, কিন্তু অনেকেই এটাকে অন্যভাবে নিয়েছেন। ফুটবল বিশ্বে অনেক আগে থেকেই একটা কথা প্রচলিত—ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে রিয়াল মাদ্রিদ–বার্সেলোনার মতো ক্লাব কিছুটা হলেও সুবিধা পায়! কে জানে লেভানডফস্কিও দূরত্ব কমার কথা বলে ক্লাবের সেই প্রভাবকেই বোঝাতে চেয়েছেন কি না!