ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছিলেন না। ছিলেন না জোয়াও কানসেলো, জোয়াও ফেলিক্স, রুবেন নেভেস, দিয়াগো দালোত, ওতাভিও, ভিতিনিয়ারাও। তবে প্রথম পছন্দের বেশির ভাগ খেলোয়াড় না থাকার পরও সুইডেনকে ‘পিষ্ট’ করতে কষ্ট হয়নি পর্তুগালের। কাল রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সুইডিশদের ৫–২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগিজরা।
একই রাতে ইউরো প্লে–অফের দৌড়ে এস্তোনিয়ার জালে পাঁচবার বল পাঠিয়েছে পোল্যান্ড। পুরো নব্বই মিনিট মাঠে থাকলেও গোলদাতার খাতায় নাম লেখাতে পারেননি রবার্ট লেভানডফস্কি। এ ছাড়া ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি ২–১ গোলে ভেনেজুয়েলাকে এবং ওয়েলস ৪–১ গোলে ফিনল্যান্ডকে হারিয়েছে।
চলতি ফিফা উইন্ডোর প্রথম রাতে পর্তুগাল নেমেছিল নিজেদের দেশের ডম আফোনসো হেনরিক স্টেডিয়ামে। কোচ রবার্তো মার্তিনেজ রোনালদোসহ বেশির ভাগ শীর্ষ খেলোয়াড়কে ম্যাচটিতে বিশ্রামে রাখেন। ইউরোর আগে যতটা সম্ভব স্কোয়াডের শক্তি বাজিয়ে দেখা যার প্রধান উদ্দেশ্য। সেটা যে কতটা সফল, ম্যাচের স্কোরলাইনেই তা স্পষ্ট।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩–০ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ২৪ মিনিটে রাফায়েল লিয়াও, ৩৩ মিনিটে ম্যাথিউস নুনেস এবং ৪৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোলগুলো করেন। বিরতির পর অপর দুটি গোল করেন ব্রুমা (৫৭ মিনিট) ও গনসালো রামোস (৬১ মিনিট)। সুইডেনের হয়ে ৫৮ মিনিটে ভিক্টর গিয়োকেরেস এবং ৯০ মিনিটে গুস্তাফ নিলসন দুটি গোল শোধ দেন।
এটি ছিল পর্তুগালের টানা ১১তম জয়। জুনে জার্মানিতে ইউরো খেলতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে একমাত্র পর্তুগালই শতভাগ জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে জায়গা করেছে। ২৬ মার্চ আরেকটি প্রীতি ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল। ম্যাচের আগে রোনালদোর স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়ারশতে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে পোল্যান্ড জিতেছে ৫–১ ব্যবধানে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হওয়া এস্তোনিয়া তাদের একমাত্র গোলটি করে ৭৮ মিনিটে। তবে এর আগেই প্রেমিস্ল ফ্রাঙ্কভস্কি (২২ মিনিট), নিকোলা জেলিনস্কি (৫০), জাকুব পিওত্রভস্কি (৭০) এবং সেবাস্তিয়ান সিমানস্কিরা (৭৬) গোল করে জয়ের কাজটি সেরে নেন। ৭৩ মিনিটে নিজেদের জালে বল ঠেলে এস্তোনিয়ার দুর্দশা বাড়ান কারল মেটস। পোল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার লেভানডফস্কি ৮টি শট নিলেও গোল পাননি, তবে একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন।
এই জয়ে ইউরোর প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে পোল্যান্ড। বৃহস্পতিবার ইউরোর টিকিটের জন্য ওয়েলসের মুখোমুখি হবে দলটি।