জার্মানির গোল উদ্‌যাপন
জার্মানির গোল উদ্‌যাপন

জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের ১০ গোলের রাত

নেশনস লিগের আলাদা ম্যাচে গতকাল রাতে মাঠে নেমেছিল জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। ডুসেলডর্ফে জার্মানির প্রতিপক্ষ ছিল হাঙ্গেরি আর আইন্দহোভেনে নেদারল্যান্ডস মাঠে নেমেছিল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে। নিজ নিজ ম্যাচে দুই দলই পেয়েছে বড় জয়।

জার্মানি ৫–০ গোলে হারিয়েছে হাঙ্গেরিকে এবং বসনিয়ার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস জিতেছে ৫–২ গোলে। অর্থাৎ আলাদা ম্যাচে দুই দল মিলে করেছে ১০ গোল। আর এই ১০ গোলের প্রতিটি করেছেন আলাদা ১০ খেলোয়াড়।

ইউরোর পর গতকাল রাতেই প্রথম মাঠে নামে জার্মানি। তবে ইউরোর সেমিফাইনালের সেই দল এবং এবারের দল ছিল একেবারেই আলাদা। ইউরোর পরপরই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন ম্যানুয়েল নয়্যার, টনি ক্রুস, টমাস মুলার এবং অধিনায়ক ইলকায় গুন্দোয়ান।

তবে তরুণদের নিয়ে গড়া এই জার্মান দল ছিল দুর্দান্ত। হাঙ্গেরিকে পাত্তাই দেয়নি তারা। প্রথমার্ধে অবশ্য এক গোলের বেশি করতে পারেনি জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে চারবার। জার্মানির এই জয়ে গোল করেছেন নিকোলাস ফুলক্রুগ, জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান রিটজ, আলেক্সান্দার পাভলোভিচ ও কাই হাভার্টজ।

নেদারল্যান্ডস–বসনিয়া ম্যাচের একটি মুহূর্ত

শুধু গোল করা কিংবা ম্যাচ জেতাই নয়, জার্মান দলের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াও ছিল দারুণ। তবে সেটা আরও দৃঢ় করতে চায় তারা। ম্যাচ শেষে মুসিয়ালা বলেছেন, ‘ফ্লোর (রিটজ) সঙ্গে খেলাটা দারুণ ব্যাপার।’ মুসিয়ালা ও রিটজের বোঝাপড়ার নিয়ে কথা বলেছেন ফুলক্রুগও। তিনি বলেছেন, ‘এটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্লো ও জামালের একসঙ্গে খেলাটা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। তারা যখন এমন ছন্দে খেলে, সেটা সত্যিই উপভোগ্য। তাদের দলে পাওয়ায় আমরা সৌভাগ্যবান। এটা উপহারের মতো।’

একই রাতে জার্মানির মতোই প্রতিপক্ষের জালে পাঁচবার বল জড়িয়েছে নেদারল্যান্ডসও। যদিও বিপরীতে দুই গোল হজম করেছে তারা। ১৩ মিনিটে ডাচদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জশুয়া জিরকজি। ২৭ মিনিটে এর্মেদিন ডেমিরোকিভের গোলে সমতায়ও ফেরে বসনিয়া। কিন্তু বিরতির আগেই ব্যবধান ২–১ করে ডাচরা। আর বিরতির পর আরও তিনবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় রোনাল্ড কোমানের দল। এর মধ্যে বসনিয়া আরও একবার বল জালে জড়ালেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

ম্যাচ শেষে ডাচ কোচ রোনাল্ড কোমান বলেছেন, ‘বলের দখল রাখা নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। দল খুব উজ্জীবিত ও গতিময় ছিল। বিরতির পর আমরা দারুণ কিছু সময় পার করেছি। কিন্তু এরপরই আমাদের ম্যাচের ইতি টানতে হয়েছে। বসনিয়া যখন ম্যাচ ৩–২ করে ফেলল, তখন দলের মধ্যে কিছু সন্দেহ তৈরি হয়। তবে পুরো ম্যাচের চিত্রের দিকে তাকালে বুঝব, এটা আসলে প্রয়োজন ছিল না।’

এর আগে রাতের অন্য ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২–০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে গোল দুটি করেন ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশ।