লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে
লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

মেসির চোখে এমবাপ্পে, এমবাপ্পের চোখে মেসি

আর মাত্র একটা ম্যাচ। সে ম্যাচের বাধা ফ্রান্স–আর্জেন্টিনার যারাই পেরোবে, তারাই হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। শিরোপার জয়ের লক্ষ্যে আর্জেন্টিনার বড় ভরসার নাম লিওনেল মেসি এবং ফ্রান্সের আস্থা থাকবে এমবাপ্পের ওপর। মেসি–এমবাপ্পের দুজন আছেনও দুর্দান্ত ছন্দে।

নিজ নিজ দলের ফাইনালে ওঠার পথে দুজনই ছিলেন দলের অন্যতম সেরা তারকা। টুর্নামেন্টে গোলদাতার তালিকায়ও যৌথভাবে শীর্ষে অবস্থান করছেন এ দুজন। এখন ফাইনালে লড়াইয়ে যে নিজেকে উজাড় করে মেলে ধরতে পারবেন, তিনিই হবে চ্যাম্পিয়ন।

ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন দারুণ ছন্দে

এবারের বিশ্বকাপের এই দুই সেরা তারকা আবার খেলেন একই দলে। গত দেড় মৌসুম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পিএসজির হয়ে লড়ছেন এমবাপ্পে ও মেসি। দুজন দুজনকে তাই বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন এবং একে অপরের শক্তি–দুর্বলতা সম্পর্কেও ভালো জানেন। বিভিন্ন সময় একে অপরের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। যেখানে একে অন্যকে দারুণ প্রশংসায়ও ভাসিয়েছেন। তবে সব ভুলে গিয়েই রোববারের ফাইনালে মাঠে নামতে হবে এই দুই ক্লাব সতীর্থকে।

পিএসজিতে এ মৌসুমের শুরু থেকে মেসি ও নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের বিরোধের খবর সামনে আসে। তবে মেসির চেয়ে নেইমারের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন ফরাসি তারকা। এর মধ্যে এমবাপ্পের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মেসি বলেছিলেন, ‘কিলিয়ান (এমবাপ্পে) একজন ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। ওয়ান অন ওয়ানে সে ভয়ংকর। ফাঁকা জায়গায় পৌঁছাতে পারে এবং সে খুবই গতিময়। গোলও করতে পারে অনেক বেশি। সে একজন পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড় এবং কয়েক বছর ধরে সেটা প্রমাণ করেছে। এটা সামনেও করবে। সে সেরাদের একজন।’

মেসিকে নিয়ে প্রশংসা অবশ্য এমবাপ্পেও করেছিলেন। গত মৌসুমে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলাটা সহজ। সে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়।’ তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে মেসি ও নেইমারের পাশে খেলা নিয়ে নিজের বিরক্তির কথা জানান এমবাপ্পে। বলেছিলেন, তিনি পিএসজির চেয়ে ফ্রান্সের হয়ে খেলার সময় বেশি স্বাধীনতা পান।

এখন সেই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে এমবাপ্পে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ নিশ্চিত করবেন নাকি মেসি–জাদুতে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা দূর হবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।