টানা দ্বিতীয়বার লিওনেল মেসির হাতে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’–এর পুরস্কার উঠেছে। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা আর্লিং হলান্ডের সমান পয়েন্ট পেলেও মেসি প্রথম হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকায়।
শুধু অধিনায়কই নন, জাতীয় দলগুলোর কোচ, বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও সাধারণ ফুটবল-ভক্তরাও ভোট দিয়েছেন বছরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে। কিন্তু মেসি নিজে কাদের ভোট দিয়েছেন?
বিশ্লেষকদের মতে, এবার পুরস্কারটি জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড এগিয়ে ছিলেন। বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার হিসেবে মেসির প্রথম পছন্দও ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির হলান্ড। সিটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই স্বপ্নের ট্রেবল জিতেছেন হলান্ড। দলকে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে দলকে সহায়তা করেছেন এই নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হওয়া সময়টায় প্রতিযোগিতাগুলোয় ৩৩ ম্যাচে হলান্ড গোল করেছেন ২৮টি।
ভোটে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন মেসির দ্বিতীয় পছন্দ। পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়া সময়ে ২০ লিগ ম্যাচে এমবাপ্পে করেছেন ১৭ গোল। জিতেছেন লিগ ‘আঁ’র বর্ষসেরা পুরস্কার ও সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার। মেসির পছন্দের তালিকায় তিনে ছিলেন মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ হুলিয়ান আলভারেজ। বর্ষসেরা বাছাইয়ে অধিনায়কদের নিজেদের ভোট দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
সেরা কোচ বাছাইয়ে মেসির প্রথম পছন্দ তাঁর পুরোনো গুরু সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। শেষ পর্যন্ত তাঁর হাতেই উঠেছে পুরস্কার। ২ নম্বরে রেখেছেন এক সময়ের বার্সা সতীর্থ, এখন বার্সার কোচ জাভি হার্নান্দেজকে। তিনে রেখেছেন ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি।
বর্ষসেরা গোলরক্ষক হিসেবে মেসির প্রথম পছন্দ ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন। তাঁর হাতেও উঠেছে এই পুরস্কার। ২ নম্বরে মেসি রেখেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানাকে। ৩ নম্বরে বার্সার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে।
ফিফা দ্য বেস্টে দ্বিতীয় সেরা আর্লিং হলান্ড নরওয়ের অধিনায়ক নন, তাই এই কোটায় তাঁর ভোটাধিকার ছিল না। তৃতীয় হওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে ভোট দিয়েছেন। সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মেসিকেই প্রথম ভোটটি দিয়েছেন এমবাপ্পে। তাঁর দ্বিতীয় সেরা হলান্ড, এরপর কেভিন ডি ব্রুইনাকে রেখেছেন ফরাসি অধিনায়ক।