লিভারপুলের ইংলিশ ডিফেন্ডার আলক্সান্ডার–আরনল্ড
লিভারপুলের ইংলিশ ডিফেন্ডার আলক্সান্ডার–আরনল্ড

আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের সামনে সর্বোচ্চ বেতনের হাতছানি, কী করবেন তিনি

প্রিমিয়ার লিগে এখন সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড় কে? এমনিতে ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দের বেতন বা ট্রান্সফার সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো তথ্য দেয় না। তবে ক্লাবের ভেতরকার সূত্রের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমগুলো এটা জানতে পারে। এ ছাড়া ট্রান্সফারমার্কেট, অপ্টা বা ফোর্বসও অনেক সময় এসব তথ্য দিয়ে থাকে।

সেসব তথ্যের ভিত্তিতে এ মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বেশি বেতনের ফুটবলার ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়াম মিডফিল্ডারের সিটিতে সাপ্তাহিক বেতন প্রায় পাঁচ লাখ ইউরো। সপ্তাহে সাড়ে চার লাখ ইউরোর চেয়ে সামান্য বেশি বেতন নিয়ে এরপরই আছেন সিটিরই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। লিভারপুলের ইংলিশ ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের সামনে সুযোগ এসেছে এ দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।

আগামী গ্রীষ্মে লিভারপুলের সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের। মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে পেতে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী আরনল্ডকে ছাড়তে রাজি নয় লিভারপুল। তাঁর সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য চুক্তি করতে চায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক গ্রায়েম বেইলির খবর অনুযায়ী, আলেক্সান্ডার–আরনল্ডকে ধরে রাখতে তাঁকে বিশাল অঙ্কের বেতনের প্রস্তাব দিচ্ছে লিভারপুল। সেই অঙ্কটা এমন যে, হলান্ড–ডি ব্রুইনাদের ছাড়িয়ে তিনি হয়ে যেতে পারেন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ বেতনের ফুটবলার।

প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ফুটবলারদের তালিকায় আরনল্ড এ মুহূর্তে আছেন ৩৫তম স্থানে। সপ্তাহে ২ লাখ ১৬ হাজার ইউরোর চেয়ে সামান্য বেশি বেতন পান তিনি। সপ্তাহে তাঁর সমান বেতন পান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, এনজো ফার্নান্দেজ, রুবেন দিয়াস, মানুয়েল আকানজিও। তবে সব সুযোগ–সুবিধা মিলিয়ে আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের চেয়ে ওই চারজনের বার্ষিক আয় বেশি।

বেইলির খবর অনুযায়ী, লিভারপুলের বোর্ড খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের সঙ্গে আলোচনার ফল ইতিবাচক হবে। উভয় পক্ষই নাকি নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী।