নিখুঁত ফুটবলাররা কেমন? তাঁদের গুণগুলোই–বা কী? তেমন কেউ কি সত্যিই আছেন? বাস্তবতা হচ্ছে, সর্বকালের সেরার তালিকায় থাকা ফুটবলারও পুরোপুরি নিখুঁত নন। কারণ, মানুষ হিসেবে একজন ফুটবলারেরও কোনো না কোনো দুর্বলতা থাকেই। হ্যাঁ, এটাও সত্যি যে এই ফুটবলাররাই আবার নিজেদের শক্তিশালী দিকগুলো দিয়ে আড়াল করে দেন সব দুর্বলতা।
আর এ কারণেই তাঁরা সেরাদের সেরা হয়ে ওঠেন। ফলে ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রান্সিকো টট্টির কাছে যখন নিখুঁত খেলোয়াড় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তখন তিনি নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারেন না। তাঁকে বলতে হয় এমন কাল্পনিক খেলোয়াড়ের কথা, যাঁর মধ্যে আছে সেরা খেলোয়াড়দের গুণাবলি।
সম্প্রতি নিখুঁত খেলোয়াড়ের নাম জানাতে গিয়ে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় থাকা বেশ কজন সেরা খেলোয়াড়ের গুণাবলিকে সমন্বিত করেছেন টট্টি। যেখানে মেসি–রোনালদো–ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের পাশাপাশি টট্টি জায়গা দিয়েছেন জুড বেলিংহামকেও। বেলিংহামের নাম থাকার কারণে টট্টির এই মন্তব্যকে ঘিরে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে।
নিজের সময়ের অন্যতম সেরাদের একজন টট্টি। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও তিনি। এএস রোমার প্রতি আনুগত্যের কারণেও টট্টির বিশেষ পরিচিতিও আছে। পুরো ক্যারিয়ারে যে রোমাতেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। রোমায় ২৪ বছরে এই ফরোয়ার্ড রোমার হয়ে খেলেছেন ৭৮৬ ম্যাচ। তাঁকে অনেক ভালোবেসে ‘রোমান সম্রাট’ বলেও ডেকে থাকেন।
সম্প্রতি বেটসন স্পোর্ট পডকাস্টে টট্টির কাছে নিখুঁত ফুটবলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘আপনার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো ডান পা, ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো বাঁ পা, লুকা টনির হেডিং, রোনালদো ফেনোমেননের গতি, মেসির ড্রিবলিং, জুড বেলিংহামের শারীরিক সক্ষমতা এবং আমার মতো করে খেলাটিকে দেখার সক্ষমতা থাকতে হবে।’
বিশেষ গুণ নিয়ে টট্টির এ তালিকায় থাকতে পারাটা বেলিংহামের জন্য নিশ্চয় দারুণ কিছু। একে নিশ্চয় অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখবেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। সাম্প্রতিক সময় অবশ্য গত মৌসুমের মতো নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না বেলিংহাম। কে জানে, হয়তো টট্টির এই কথা থেকে প্রেরণা নিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন এই ইংলিশ তরুণ।