টানা দুই জয়ে অলিম্পিকের শেষ আট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। শেষ আটে যাওয়ার লড়াইয়ে আজ ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা দুই গোলই করেছে বিরতির পর। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলটি করেন থিয়াগো আলমাদা। আর শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্লদিও এচেভেরি।
এ জয়ের পরও অবশ্য ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান মরক্কোর সমান হওয়ায় দেখা হয়েছে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে মরক্কো ৩–০ গোলে হারিয়েছে ইরাককে। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারানো মরক্কো হয়েছে গ্রুপসেরা। আজ ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মিসর।
ইউক্রেনের বিপক্ষে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ১০ মিনিটের মধ্যে গোলের একাধিক সুযোগও তৈরি করে তারা, কিন্তু পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। শুরুর চাপ সামলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে ইউক্রেনও। পরপর কয়েকটি আক্রমণও শানায় তারা। কিন্তু গোল আদায় করতে পারেনি তারা। প্রথম ৩০ মিনিটে ম্যাচের প্রায় পুরোটাই দখলে ছিল আর্জেন্টিনার।
এ সময় ৭৫ শতাংশের বলের দখল ছিল তাদের। তবে আর্জেন্টিনার বেশির ভাগ আক্রমণই ইউক্রেনের বক্সের কাছাকাছি গিয়ে নষ্ট হয়েছে। ফলে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও সেভাবে সুযোগ তৈরিতে পারেনি তারা। অন্যদিকে বলের নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করে ইউক্রেনও। তবে তাতে ভাঙেনি আর্জেন্টিনার রক্ষণদেয়াল।
বিরতির পর অবশ্য ইউক্রেনের রক্ষণব্যূহ ভাঙতে মাত্র ২ মিনিট সময় লাগে আর্জেন্টিনার। ক্রিস্তিয়ান মেদিনার কাছ থেকে বল পেয়ে কিছু দূর এগিয়ে এগিয়ে এসে বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন থিয়াগো আলমাদা। গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইউক্রেন। কিছু সুযোগও তৈরি করে তারা, কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে এচেভেরির গোলে আরও পিছিয়ে যায় তারা। দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
একই রাতের অন্য ম্যাচে ইউরো চ্যাম্পিয়নস স্পেনকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে মিসর। ইব্রাহিম আদলের জোড়া গোলে স্পেনকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে। দারুণ নৈপুণ্য দেখানো ইব্রাহিম ম্যাচের ৪০ মিনিটে এগিয়ে দেন মিসরকে।
বিরতির পর ৬২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচের ৯০ মিনিট স্যামুয়েল ওমোরোদিওন গোল করলেও তাতে হার ঠেকাতে পারেনি স্পেন। এ জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই পরের পর্বে গেল মিসর। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের পর্বে গেছে স্পেন।