হোয়ান গাম্পার ট্রফিটা বার্সেলোনার। বার্সেলোনাই যে আয়োজন করে বার্ষিক এই ম্যাচ। মৌসুম শুরুর আগে আয়োজিত সেই ট্রফিটা ২০১২ সালের পর অন্য কোনো দলের হাতে উঠতে দেয়নি বার্সা। কাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে টটেনহামকে হারিয়ে টানা ১১তম বারের মতো ট্রফিটা নিজেদের হাতে তুলল লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
তবে এবার কাজটা সহজ হয়নি বার্সেলোনার। যদিও ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জিতেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। ফল নিজেদের পক্ষে নিতে যে শেষ ১০ মিনিটে রীতিমতো ঝড় তুলতে হয়েছে বার্সাকে। ৮০ মিনিট পর্যন্ত যে ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম এগিয়েছিল ২-১ গোলে। ফেরান তোরেস, আনসু ফাতি ও আবদে এজ্জালজুলি শেষ ১০ মিনিটের গোল জিতিয়েছে বার্সাকে।
তবে এঁরা নন, বার্সার জয়ের বড় ভূমিকা ১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের। বার্সার ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ৮০ মিনিটে নামার পরই বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ। গোল না পেলেও বার্সার দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটিতে বড় অবদান গত মৌসুমে ১৫ বছর বয়সে লা লিগা ম্যাচ খেলে ইতিহাস গড়া ইয়ামালের।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার অলিভার স্কিপের ২৪ ও ৩৬ মিনিটে ২ গোলে এগিয়ে যায় টটেনহাম
ইয়ামাল মাঠে নামার এক মিনিটে মধ্যেই সমতা আনে বার্সা। আরেক বদলি ফেরান তোরেসের করা সেই গোলটা বানিয়ে দিয়েছেন ইয়ামাল। ৯০ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে নেওয়া আনসু ফাতির গোলটিতেও বড় অবদান তাঁর। ডান পাশ থেকে আসা এক পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামনে থাকা ফাতিকে পাস বাড়ান ইয়ামাল। গোল করার কষ্টটাই শুধু করতে হয়েছে ফাতিকে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আবদে এজ্জালজুলির গোল নিশ্চিত করে দেয় বার্সার জয়।
হোয়ান গাম্পার ট্রফিতে বার্সা শেষ হেরেছে ২০১২ সালে। ইতালির সাম্পদোরিয়া ১-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিকদের।