ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমার
ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমার

‘নেইমার রোনালদো কিংবা রোনালদিনিওর চেয়ে পিছিয়ে’

ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০০২ সালে। এসি মিলানের হয়ে জিতেছেন ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে আরাধ্য শিরোপা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে ১৯৯৯ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ ছাড়াও রিভালদো জিতেছেন কোপা আমেরিকা ও কনফেডারেশনস কাপের শিরোপা। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা এই প্লে–মেকার মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপের শিরোপাটা আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির প্রাপ্যই ছিল। নেইমারের সঙ্গে পেলের তুলনায় তিনি যেতে চান না। তাঁর সবচেয়ে বড় কারণ বিশ্বকাপই।

রিভালদো ব্রাজিলের তারকাদের মধ্যে পেলেকে রাখতে চান সবার ঊর্ধ্বে। তবে রোনালদো নাজারিও কিংবা রোনালদিনিওদের সঙ্গে তুলনায় নেইমার পিছিয়েই থাকবে বলে মনে করেন রিভালদো, ‘ব্রাজিল সব সময়ই দারুণ খেলোয়াড়দের জন্ম দেয়। কিন্তু পেলের সমপর্যায়ের আর কেউ আসেননি। তবে রোনালদো কিংবা রোনালদিনিওর পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনায় নেইমার বেশ পিছিয়েই থাকবে। সে এখনো ব্যালন ডি’অর কিংবা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে আমি মনে করি, নেইমার দারুণ খেলোয়াড়। বিশ্বের অন্যতম সেরা হওয়ার যোগ্যতা তাঁর আছে। আমি বিশ্বাস করি সে সেটিই হবে।’

রিভালদো

একটি ব্রিটিশ ফুটবল ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিভালদো পেলের প্রতি জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। তাঁর কাছে প্রয়াত কিংবদন্তি সব সময়ই ফুটবলের রাজা, ‘পেলে আমার দৃষ্টিতে সব সময়ই ফুটবলের রাজা। আমি তাঁকে খেলতে দেখিনি। তবে তাঁর খেলার সব ভিডিও, গোলের ভিডিও আমার দেখা। ভিডিওগুলো দেখে আমার ধারণা হয়েছে, পেলে অন্য ধারার একজন ফুটবলার। অন্যদের চেয়ে আলাদা। বিশেষ কেউ। সর্বকালের সেরা কে, এ নিয়ে সব সময়ই বিতর্ক চলে। তবে আমি মনে করি, একেক সময়ে একে ধরনের সেরা খেলোয়াড়ের আবির্ভাব হয়। সেই সময়ে তিনি নিজের গল্পটা তৈরি করেন তাঁর প্রতিভা দিয়েই। তাঁদের দেখে ফুটবলপ্রেমীরা আনন্দ পান, তাঁদের খেলা ফুটবলপ্রেমীদের মন ভরিয়ে দেয়।’

পেলের সঙ্গে নিজের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা করেছেন রিভালদো, ‘আমার তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ১৯৯৯ কিংবা ২০০০ সালের দিকে। তাঁর সামনে দাঁড়াতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি। একধরনের শ্রদ্ধাবোধ কাজ করছিল। তাঁর সামনে যেতে পেরে রীতিমতো গর্বিত লাগছিল নিজেকে। শেষবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে সাও পাওলোর একটি অনুষ্ঠানে। সঠিক দিনক্ষণ মনে নেই।’

এবারের বিশ্বকাপ কেন আর্জেন্টিনার প্রাপ্য ছিল, তাঁর ব্যাখ্যায় বার্সেলোনা ও এসি মিলানের সাবেক এই তারকা বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার গোটা দল বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে ছিল। তারা এক হয়ে লড়েছে বিশ্বকাপের জন্য। বিশ্বকাপ সহজ কিছু নয়, অনেক দেশই বিশ্বকাপ জিততে চায়। লড়াইটা কঠিন।’

মেসি কিংবা এমবাপ্পের হাতেই পরবর্তী ব্যালন ডি’অর দেখছেন রিভালদো। তবে ব্যালন ডি’অরে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়টা বড় অবদান রাখবে বলে মনে করেন বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোয়াড় , ‘বিশ্বকাপ জেতায় মেসি ব্যালন ডি’অর পেতে পারে। এমবাপ্পেও পেতে পারে। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ওপর। এখনো তো হাতে কিছু সময় আছে। দেখাই যাক।’