রিয়ালে চার মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই চোটে কেটেছে এডেন হ্যাজার্ডের
রিয়ালে চার মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই চোটে কেটেছে এডেন হ্যাজার্ডের

৪ মৌসুমে ৭৬ ম্যাচ আর ৭ গোলে শেষ হ্যাজার্ডের রিয়াল–অভিযান

চেলসিতে ৭ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৩৫২ ম্যাচ, গোল করেছেন ১১০টি। শুধু গোলের সংখ্যায় তো আর চেলসির এডেন হ্যাজার্ডকে বোঝানো সম্ভব নয়, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯, এ সাতটি মৌসুমে বেলজিয়ান তারকার খেলা দেখে আপ্লুত ছিলেন অনেক ফুটবলপ্রেমীই।

বড় আশা নিয়েই হ্যাজার্ডকে চেলসি থেকে ২০১৯ সালে বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি (৮ কোটি ৮৫) দিয়ে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু কোথায় কী! রিয়ালের সেই আশা পূরণ হওয়া দূরে থাক, চোটজর্জরিত হ্যাজার্ড চার মৌসুমে রিয়ালের হয়ে মাঠেই নামতে পেরেছেন মাত্র ৭৬টি ম্যাচে। গোল করেছেন মাত্র ৭টি।

চোটজর্জরিত হ্যাজার্ড চার মৌসুমে রিয়ালের হয়ে মাঠেই নামতে পেরেছেন মাত্র ৭৬টি ম্যাচে

সাপ্তাহিক ৪ লাখ পাউন্ড বেতনের হ্যাজার্ড এ মৌসুমেও খুব বেশি মাঠে নামতে পারেননি। ২০২২-২৩ মৌসুমে মাত্র ৩৯২ মিনিটই রিয়ালের হয়ে খেলতে পেরেছেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোনো ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট খেলা হয়নি তাঁর।

সব মিলিয়ে রিয়ালের সঙ্গে হ্যাজার্ডের বিচ্ছেদটা অবধারিতই ছিল। অবশেষে সেটা হয়ে গেল গতকাল। রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রিয়াল মাদ্রিদ এবং এডেন হ্যাজার্ড ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে ২০২৩ সালের ৩০ জুনের পর তিনি আর আমাদের ক্লাবে থাকছেন না।’ বিবৃতিতে হ্যাজার্ডের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছে রিয়াল।

চার বছরে খুব বেশি মাঠে না নামলেও শিরোপা কম জেতেননি হ্যাজার্ড। রিয়ালের হয়ে তাঁর শিরোপার সংখ্যা ৮—২টি করে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১টি করে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও কোপা দেল রে।