ম্যাচের এক পর্যায়ে ভারত ও নেপালের খেলোয়াড়েরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন
ম্যাচের এক পর্যায়ে ভারত ও নেপালের খেলোয়াড়েরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন

ভারত–নেপাল সেমিফাইনালে অনেক নাটক, খেলা বন্ধ ছিল ৬৭ মিনিট

ভুটানকে ৭–১ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে উঠে গেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাবিনা-মাসুরা-ঋতুদের প্রতিপক্ষ কে, সেটি নির্ধারণ করতে এ মুহূর্তে চলছে স্বাগতিক ভারত ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

ম্যাচটিকে ফুটবল না বলে যুদ্ধ বলাই শ্রেয়। ভারত ও নেপালের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আগুন ছড়াচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। এরই মধ্যে নেপালের একটি গোল নিয়ে হয়েছে বিস্তর নাটক। ভুটানের রেফারি নেপালের গোল বাতিল করার কারণে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের দর্শকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠে পানির বোতল ছুড়েছেন, নেপাল দল প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান নেয় সাইড লাইনের কাছে। পুরো ঘটনায় এক ঘণ্টারও বেশি (৬৭ মিনিট) বন্ধ থাকে খেলা।

দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এই সেমিফাইনাল আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমজমাট। দুই দলই একে অন্যকে চোখ রাঙিয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি বের করা যায়নি। ম্যাচের ৭২ মিনিটের সময় সংগীতা বাসফোরের দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটের গোলে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামকে থমকে দিয়ে এগিয়ে যায় ভারত।

ভারতীয়রা প্রস্তুত না হতেই খেলা শুরু করে দেন নেপালিরা

নাটকের শুরু এখান থেকেই। ভারতীয় ফুটবলাররা যখন নিজেদের ডাগআউটের সামনে গিয়ে উদ্‌যাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মধ্যমাঠে বল বসিয়ে নেপালি দল খেলা শুরু করে দেয়। শুধু খেলা শুরুই নয়, ফাঁকা মাঠে বল জালেও পাঠিয়ে দেন প্রীতি রাই। এই সময় ভারতীয় ফুটবলারদের কেউই মাঠে জায়গামতো ছিলেন না। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় ভুটানি রেফারি ওম চাকি খেলা শুরুর বাঁশিও বাজিয়েছেন।

ভারতীয় দল প্রতিবাদ জানায় স্বাভাবিকভাবেই। রেফারিও তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। এই সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানায় নেপাল দল। গ্যালারি থেকেও শুরু হয় বোতল বর্ষণ। দশরথ স্টেডিয়ামে শুরু হয় অচলাবস্থা। নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় ফুটবলাররাও মাঝমাঠে আশ্রয় নেন। পরে অবশ্য নেপাল মাঠে ফিরলে খেলা শুরু হয়। নেপালের স্ট্রাইকার সাবিত্রা ভান্ডারি ম্যাচে ফেরান সমতাও।

এই মুহূর্তে নাটকীয় এই সেমিফাইনাল এগিয়ে চলেছে ১-১ সমতায়।