রাফায়েল নাদাল দারুণ ফুটবলপ্রেমী, এটা কে না জানেন। স্পেনের টেনিস তারকা সুযোগ পেলেই ফুটবল দেখেন। সে কারণেই কি না, ফুটবল নিয়ে বিভিন্ন সময় অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিতে হয় তাঁকে। চোটের কারণে টেনিস থেকে বাইরে আছেন। খেলা হয়নি উইম্বলডন। ২২ গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী নাদাল ছুটি কাটাতে গ্রিসে গিয়েই মুখোমুখি হলেন ফুটবল নিয়ে প্রশ্নের। ভক্তরা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন ফুটবলের সেই চিরকালীন বিতর্ক নিয়ে—মেসি না রোনালদো, কে সেরা!
একই বিতর্ক তো টেনিসেও আছে। টেনিসের সর্বকালের সেরা কে? রাজার ফেদেরার, নোভাক জোকোভিচ নাকি রাফায়েল নাদাল? কিছুদিন আগপর্যন্তও এ ব্যাপারে এগিয়ে ছিলেন ফেদেরার। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম! তবে নাদাল ও জোকোভিচ ফেদেরারকে ছাড়িয়ে গেছেন সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। এখন তো জোকোভিচ এগিয়ে গেছেন সবার চেয়েই। ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক এখন এই সার্ব তারকা। ফেদেরার জিতেছেন ২০টি, নাদাল ২২টি। ফেদেরার অবসরে গেছেন। লড়াইটা এখন জারি আছে জোকোভিচ ও নাদালের মধ্যে।
গ্রিসে ভক্তদের প্রশ্নে নাদালের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আমার দৃষ্টিতে মেসি রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে। তবে আমি কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক।’ রোনালদো একসময় রিয়ালে খেলতেন, মেসি ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনায়। তবে ক্লাব সমর্থনের বাইরে গিয়ে যে শুধু খেলোয়াড়ি নৈপুণ্যের নিরিখে জবাব দিয়েছেন, সেটি বোঝাতেই নিজের রিয়াল সমর্থক পরিচয়ের অবতারণা নাদালের।
মেসি আর রোনালদোকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন নাদাল। তবে রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত হিসেবে মানসিক দিক দিয়ে মেসির বিপরীতেই থাকতে হয়েছে টেনিসের অন্যতম সেরা তারকাকে। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করতে হয়েছে, মেসি যেন রিয়ালের বিপক্ষে নিজের মতো করে খেলতে না পারেন।
তিনি নিজে রিয়ালের সমর্থক হতে পারেন, তবে নাদালের সঙ্গে বার্সেলোনারও যোগ রয়েছে। সবাই জানেন, নাদালের চাচা মিগুয়েল আনহেল নাদাল নব্বইয়ের দশকে বার্সেলোনার খেলোয়াড় ছিলেন। আনহেল নাদাল ছিলেন ইয়োহান ক্রুইফের অধীনে বার্সার সেই বিখ্যাত ‘ড্রিম টিম’-এর অংশ, যে দলকে ‘বিস্ট অব বার্সেলোনা’ বলা হয়। স্পেনের হয়েও ৬২ ম্যাচ খেলেছেন আনহেল নাদাল। বার্সেলোনার জার্সিতে খেলেছেন ২০০ ম্যাচ। খেলেছেন জন্মশহরের ক্লাব মায়োর্কার হয়েও।