নিষেধাজ্ঞার কারণে নেই রবার্ট লেভানডফস্কি , চোটের কারণে ২৫ মিনিটে মাঠ ছেড়েছেন উসমান দেম্বেলে। লেভানডফস্কির জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া আনসু ফাতিও তেমন কিছুই করতে পারেনি। তাই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ানোর ম্যাচে বিপদের শঙ্কা ছিল। তবে বার্সার জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলা পেদ্রির গোলে বিপদ এড়িয়েছে কাতালান ক্লাবটি। জিরোনার মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে তারা। এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সা।
ইতিহাস–ঐতিহ্য, স্কোয়াডের শক্তি এবং লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের হিসেবেও জিরোনার বিপক্ষে অনেক অনেক এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। লা লিগার শেষ ২৯ ম্যাচে কাতালান কোনো দলের বিপক্ষে হারেনি বার্সা। শেষবার হেরেছে ২০০৯ সালে। মাঠে নামার আগে এগিয়ে থাকা বার্সা খেলার শুরু থেকেই বল পজিশনে ঢের এগিয়ে ছিল।
যদিও জিরোনার রক্ষণ দরজা খোলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারছিল না গাভিরা। প্রথমার্ধে গোল করার মতো হাতে গোনা কয়েকটি সুযোগ তৈরি হয় বার্সার। জিরোনার গোলরক্ষকের ভুলে ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যেত পারত জাভির দল। গোলরক্ষককে চাপে ফেলে আনসু ফাতি বল পেলেও তাঁর পাস দেওয়া বল কাজে লাগাতে পারেনি দেম্বেলে। চোটে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে ফরাসি এই ফুটবলারকে। বারবার চোটে পড়া এই ফুটবলারে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন পেদ্রি।
বার্সার জার্সিতে এটি পেদ্রির ১০০তম ম্যাচ। ২৮ মিনিটে আবারও সুযোগ আসে বার্সার সামনে। এবারও ভুলটা সেই জিরোনার রক্ষণের। ডিফেন্ডারদের ভুল পাসে ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান ফাতি। তবে ফাতির শট গোলপোস্ট বরাবরই রাখতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণের সুযোগ এসেছিল জিরোনার সামনে। তবে চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচে গোল হজম না করা বার্সার দুর্গ ভাঙার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হলুদ কার্ড দেখেন পেদ্রি ও কোচ জাভি। এর আগে ফাতিও হলুদ কার্ড পেয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও গোছালো আক্রমণ করতে থাকে বার্সা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে জর্দি আলবার ক্রসে পা ছুঁয়ে পেদ্রি দলকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট অবশ্য খেলাটা নিজেদের করে নিয়েছিলেন জিরোনা। ৮৬ মিনিটে ডি বক্সে অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন ইভান মার্তিন। ৯২ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করে জিরোনা। যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মিনিটেও সুযোগ পায় জিরোনা। ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি লম্বা ক্রসে মাথাটা ঠিকভাবে ছোঁয়াতে পারেননি। তাতে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েও মাঠে ছাড়ে বার্সা।
১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সা।এক ম্যাচ কম খেলে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪১।