বাঁ পায়ের টোকায় গোল করছেন ফোডেন
বাঁ পায়ের টোকায় গোল করছেন ফোডেন

ফোডেনের গোলে লিভারপুলের আরও কাছে সিটি

গোল করতে বাঁ পায়ের শটটা নিয়েছিলেন আর্লিং হলান্ড। কিন্তু বোর্নমাউথ গোলকিপার নেটো বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে রুখে দেন। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। দৌড়ে একদম জায়গা মতো চলে এসেছিলেন ফিল ফোডেন। বাঁ পায়ের টোকায় গোল, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ফোডেনের ১৬তম।

ফোডেনের গোলে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি। ২৬ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট পাওয়া লিভারপুলের সঙ্গে সিটির ব্যবধান ১ পয়েন্টের। ২৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫৯ পয়েন্ট। লিগে নিজেদের সর্বশেষ ৭ ম্যাচে জিততে না পারা বোর্নমাউথ ২৫ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম।

ভিটালিটি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজকে বেঞ্চে রেখে একাদশ গড়েছিলেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে এর আগে বেঞ্চে বসার অভিজ্ঞতা হয়নি আলভারেজের। সামনে হলান্ডকে রেখে পেছনে ম্যাথিয়াস নুনেজ, ফোডেন, মাতেও কোভাচিচ, ও বের্নার্দো সিলভাকে দিয়ে আক্রমণভাগ সাজান গার্দিওলা। এখান থেকে একটি মাত্র গোল পাওয়ায় খানিকটা হতাশ হতেই পারেন গার্দিওলা।

বোর্নমাউথের আক্রমণ রুখে দিচ্ছেন সিটি গোলকিপার এদেরসন

প্রথমার্ধে সিটির খেলার শুরুটাও হয় ধীর লয়ে। ২৪ মিনিটে ফোডেনের গোলের পর থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সিটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলও হজম করতে পারত। বোর্নমাউথ মিডফিল্ডার মার্কাস তাভার্নিয়ের বল পোস্টের বাইরে মারায় রক্ষা। দমিনিক সোলাঙ্কের হেডও একবার গোল লাইন থেকে বাঁচিয়েছেন সিটি গোলকিপার এদেরসন। যোগ করা সময়ে বোর্নমাউথের এনেস উনালও হেড সিটির পোস্টে রাখতে পারেননি।

প্রথমার্ধে শুরুতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন হলান্ড। ফোডেনের দারুণ ক্রস থেকে তাঁর ডান পায়ের শট পোস্টের বাইরে ছিল। এরপর গোলটা আসলে ফোডেনেরই করার কথা ছিল। বোর্নমাউথের বিপক্ষে আগের চারবারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই গোল পেয়েছেন। পঞ্চম দফায়ও তাই হলো ২৪ মিনিটে।

কঠিন ম্যাচ ছিল সিটির তারকা হলান্ডের জন্য। গোল পাননি

বোর্নমাউথের বিপক্ষে এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১৪বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জিতল সিটি। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক দলের বিপক্ষে অন্য দলের এটাই ১০০% জয়ের সেরা রেকর্ড।