ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের মাঠ ফেডারেশন কাপের জন্য প্রস্তুত নয়
ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের মাঠ ফেডারেশন কাপের জন্য প্রস্তুত নয়

ফেডারেশন কাপে শুরুর দিনই মাঠ–বিতর্ক

লিগ শুরু হয়ে গেছে গত শুক্রবার। আজ শুরু হচ্ছে ফেডারেশন কাপ ফুটবল। গত দুই মৌসুমের ধারাবাহিকতায় এবারও খেলা হবে প্রতি মঙ্গলবার। তবে এবার প্রথম দিনই মাঠ–বিতর্ক ছায়া ফেলেছে ৪৪ বছরের পুরোনো এই টুর্নামেন্টে। কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের মাঠ সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলের জন্য কতটা উপযোগী, বিতর্কটা এ নিয়েই।

আজ কুমিল্লায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বাংলাদেশ পুলিশ ও ফর্টিস এফসি। কুমিল্লার মাঠে গত কয়েক দিন ক্রিকেট হওয়ার পর ফুটবলের জন্য মাঠ উপযোগী করার কাজ শুরু হয়েছে গতকাল।

এক দিনের মধ্যে মাঠ কতটা খেলার উপযোগী করা যাবে, সেই দুশ্চিন্তা থেকেই বসুন্ধরা-ব্রাদার্স ম্যাচটি ময়মনসিংহে আর পুলিশ-ফর্টিস ম্যাচটি কিংস অ্যারেনায় আয়োজনের কথা ভেবেছিল বাফুফে। এতে কিংস, পুলিশ আর ফর্টিস রাজি হলেও বেঁকে বসেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘কুমিল্লার মাঠ যে উপযোগী নয়, সেটা কি বাফুফে জানত না? আমরা ময়মনসিংহে যাব না। কুমিল্লাতেই খেলব। মাঠগুলো উপযোগী করে কেন মৌসুম শুরু করা হলো না?’

কুমিল্লা থেকে ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপের বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্সের ম্যাচ সরাতে চেয়েছিল বাফুফে

কুমিল্লা ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত হওয়ার পরও সেই মাঠ ফুটবলের উপযোগী কেন করা হলো না, তাতে প্রশ্ন উঠছে বাফুফের ব্যবস্থাপনা নিয়েই। ফুটবল ভেন্যুতে ক্রিকেট হওয়ার পর সেটি ফুটবল উপযোগী করতে যে সময় প্রয়োজন, বাফুফের মাথায় ছিল না সে ব্যাপারটিই। প্রশ্ন উঠছে, এবারের ফুটবল মৌসুমের ভেন্যু হিসেবে কুমিল্লার এই স্টেডিয়াম চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর কেন ক্রিকেট আয়োজন করতে দেওয়া হলো? এসব ব্যাপারে উত্তর নেই কারও কাছেই।

এবারের ফুটবল মৌসুমে ৫টি ভেন্যু ‘হোম’ হিসেবে ব্যবহার করবে শীর্ষ ১০ ক্লাব। সে হিসেবে কুমিল্লা ‘হোম ভেন্যু’ দেশের দুই শীর্ষ ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানের। নিয়মানুযায়ী হোম ভেন্যুর রক্ষণাবেক্ষণ, মাঠ তৈরি, এটাকে উপযোগী রাখার দায়িত্ব ক্লাবগুলোরই। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের মাঠ ফেডারেশন কাপের আগে ফুটবল উপযোগী না থাকার দায় আবাহনী ও মোহামেডানের ওপরও বর্তায়। কিন্তু হোম ভেন্যুর ধারণাটি এখনো পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না হওয়ায় মাঠের ব্যাপারে বাফুফের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ কম।