যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির অভিষেক হবে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে, নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে। নিউ জার্সির রেড বুল অ্যারেনায় হতে যাওয়া ম্যাচটি ঘিরে দর্শক আগ্রহ চূড়া ছুঁতে চলেছে। টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি অন্তত এমনটাই বলছে।
ইন্টার মায়ামি-রেড বুলস ম্যাচের একটি টিকিটের দাম ২৩ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি। তবে চড়া মূল্যে টিকিট কেটেও মেসির খেলা দেখা যাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। টানা খেলার মধ্যে থাকা আর্জেন্টাইন তারকাকে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মেসি জুলাইয়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। এর মধ্যে ৭টিই ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ক্লাবগুলোকে নিয়ে আয়োজিত লিগস কাপে। একটি ম্যাচ খেলেছেন ইউএস ওপেন কাপে, যা দেশটির ক্লাব ফুটবলের মূল কাপ প্রতিযোগিতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা হচ্ছে এমএলএস। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ২০২৩ মৌসুম মাঝে এক মাস বিরতির পর গত সপ্তাহে আবার শুরু হয়েছে। ইন্টার মায়ামির লিগস কাপ ও ওপেন কাপ ব্যস্ততা ছিল বলে তারা খেলতে পারেনি। তাই সামনের এক সপ্তাহের মধ্যে এমএলএসে দলটিকে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। যার প্রথমটি নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে।
টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট গেম টাইম ডটসিওর তথ্য বলছে, মায়ামি-রেড বুলস ম্যাচটি দেখতে হলে সর্বনিম্ন ৩২৭ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ হাজার টাকার বেশি। এর সঙ্গে কর যোগ হবে। টিকিটের দাম নির্ধারিত হয় আসনের অবস্থানের ওপর।
মায়ামি-রেড বুলস ম্যাচের সবচেয়ে দামি টিকিটের আসন রাখা হয়েছে মাঠের কর্নার ফ্ল্যাগের কাছাকাছি। এটির দাম ১৭ হাজার ৪৩৮ মার্কিন ডলার, সঙ্গে ৬ হাজার ডলার কর মিলে মোট খরচ পড়বে ২৩ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
তবে এত দামে টিকিট কেনার পর দর্শকেরা মেসিকে ম্যাচের পুরো সময় খেলতে দেখতে পারবেন কি না, অনিশ্চিত। আজ সিনসিনাটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইন্টার মায়ামি ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে ওঠার পর দলটির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো। সামনের ম্যাচগুলোতে মেসিসহ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে এই আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, ‘গত ৪৫-৫০ দিনে আমরা প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। লিও এবং আরও অনেক খেলোয়াড় শারীরিক সীমাবদ্ধতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আজ হতে আমরা মূল্যায়ন করা শুরু করব, কীভাবে সামনের তিনটি ম্যাচ মোকাবিলা করা যায়।’
মেসি মায়ামিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন ২১ জুলাই। সব মিলিয়ে ৩৩ দিনে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন, যার ৩টি টাইব্রেকারে গড়ায়। মায়ামির পরবর্তী তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ রেড বুলস, ন্যাশভিল ও লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি।