নেইমারের জন্য বড় এক ধাক্কাই এটা। বক্সের বাইরে থেকে ওয়ান-টু খেলে ভেতরে ঢুকেছেন দারুণভাবে। এরপর বক্সের ভেতরে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন নেইমার। সেখান থেকে গোলকিপারকে কাটিয়ে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। অতিরিক্ত সময়ের সেই গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু গোলটি তারা ধরে রাখতে পারেনি। ব্রুনো পেতকোভিচের ১১৭ মিনিটের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
সেখান থেকে ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। প্রথম চারটি শট থেকে টাইব্রেকারে গোল করে তারা। অন্যদিকে ব্রাজিলের প্রথম শটটি থেকেই গোল করতে ব্যর্থ হন রদ্রিগো। এরপর চতুর্থ শটটি পোস্টে লাগান মার্কিনিওস। সব মিলিয়ে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে শেষ আট থেকেই ছিটকে গেছে ব্রাজিল।
ম্যাচ শেষে মাঠের মাঝবৃত্তে বসে অনেকক্ষণ কেঁদেছেন নেইমার। ব্রাজিলকে বিশ্বকাপে ষষ্ঠ শিরোপা জেতানোর মিশন নিয়ে এসে কি না শেষ চারেই উঠতে পারলেন না। হৃদয় ভেঙে গেছে তাঁর। তাহলে কি নেইমারের আর বিশ্বকাপ জেতা হবে না? এমন প্রশ্ন করার কারণ আছে। বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে পা রাখার আগে যে নেইমার বলেছেন, এটা হতে পারে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।
এ কারণেই ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর মিক্সড জোনে নেইমারকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন-এটাই কি শেষ বিশ্বকাপ? ব্রাজিল দলে আপনার ভবিষ্যৎ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে নেইমার নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নেইমার বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, আমি জানি না। এ নিয়ে অনেক কিছু ভাবার আছে। আমি মাথা গরম অবস্থায় কিছু বলতে চাই না। আমার আর জাতীয় দলের জন্য ভালো কী, এটা ভাবতে আমি সময় নিতে চাই।’
নেইমার অবশ্য এরপর যোগ করেন, ‘আমি দরজা বন্ধ করছি না এবং আমি শতভাগ নিশ্চিত নই, আবার (জাতীয় দলে) ফিরব কি না। সবকিছু নিয়ে আমি ভাবতে চাই।’