ব্রাজিলের কিংবদন্তি দুটি ক্লাবের মালিক ছিলেন
ব্রাজিলের কিংবদন্তি দুটি ক্লাবের মালিক ছিলেন

সমালোচনার মুখে ক্লাবের মালিকানা বিক্রি রোনালদোর, লাভ ৪২৮ কোটি টাকা

ব্রাজিলের ক্রুজেইরো ও স্পেনের ভায়াদোলিদ—দুটি ক্লাবের মালিকানা ছিল ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদোর। ব্রাজিলের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক সোমবার ক্রুজেইরোর মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া রোনালদো বলেছেন ভায়াদোলিদের শেয়ারও ছেড়ে দেবেন তিনি।

১৯৯৩ সালে যে ক্লাবে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, সেই ক্রুজেইরোকে ২০২১ সালে কেনেন রোনালদো। ঋণের দায়ে জর্জরিত ক্লাবটিকে ৭.৮ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৮৫৬ কোটি টাকায় কেনেন ২০০২ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। তিন বছর পর ১১.৭ কোটি মার্কিন ডলারে (প্রায় ১২৮৪ কোটি টাকা) ক্লাবটিকে বিক্রি করার ঘোষণা দিলেন রোনালদো। প্রায় ৪২৮ কোটি টাকা লাভ হলেও রোনালদো সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়েই ছেড়ে দিয়েছেন মালিকানা।

নিজ মালিকানাধীন ক্লাব ভায়াদোলিদের অবনমনের সাক্ষী হয়েছিলেন রোনালদো নাজারিও

দলটির সমর্থকদের অভিযোগ ছিল রোনালদোর প্রতিশ্রুতিমতো অর্থ বিনিয়োগ করেননি ক্রুইজেরোতে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব বিক্রির ঘোষণা দিতে গিয়ে সমর্থকদের প্রসঙ্গ টেনেছেন রোনালদো, ‘কেউ কেউ (সমর্থক) আমার বিরুদ্ধে বাড়িয়ে বাড়িয়ে এমন সব কথা বলেছে, যেগুলো আমার জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। আমি জানি বেশির ভাগ সমর্থকই আমার ও আমার দলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা তো ক্রুজেইরোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিরিয়েছি। আমার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ক্রুজেইরোকে ফিরিয়ে এনে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া—এমনটাই তো ভাবনা ছিল।’

রোনালদো একই সময়ে জানান ভায়াদোলিদও বিক্রি করে দেবেন তিনি। ২০১৮ সালে স্প্যানিশ ক্লাবটি ৫১ ভাগ শেয়ার কিনে নিয়েছিলেন রোনালদো। ৪৭ বছর বয়সী রোনালদো ভায়াদোলিদকে নিয়ে ওঠা প্রশ্নে সরাসরিই উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি সংক্ষেপেই উত্তর দিচ্ছি, এরপরই ভায়াদোলিদ। আমি কিছু সময় বিশ্রাম নেব।’