ব্রেন্টফোর্ড স্ট্রাইকার ইভান টনিকে বেটিং আইন ভাঙার দায়ে ১৮ মে ১১ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। কাল এফএ জানায়, জুয়ায় আসক্তি প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন।
বিবিসি জানিয়েছে, অতীতের ভালো রেকর্ড ও ‘নিখাদ অনুশোচনা’ বিবেচনায় নিয়ে টনির শাস্তি তিন মাস কমিয়ে আট মাসে নামিয়ে এনেছে এফএ নিয়ন্ত্রক কমিশন। ২৭ বছর বয়সী টনি যে জুয়ায় আসক্ত এবং তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন, এ বিষয় তথ্যপ্রমাণসহ একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এফএ রেগুলেটরি কমিশনে দাখিলের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টনিকে এ মাসের শুরুতে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানাও করা হয়। এফএর বেটিং আইন অনুযায়ী মোট ২৩২টি নিয়ম ভেঙেছেন টনি, এর মধ্যে নিজের খেলা কিছু ম্যাচে বেটিংয়ের অভিযোগও রয়েছে।
এফএর স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কমিশন কাল টনিকে নিষিদ্ধ করার লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে, যেখানে টনির কম বয়স এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা ভেবে তাঁর শাস্তি কমানোর ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
এফএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইনগুলো যখন ভেঙেছিলেন, তখন তাঁর বয়স কম ছিল এবং মাঠের বাইরে অতীত রেকর্ডও তাঁর ভালো। এ ছাড়া কমিশনের সামনে কৃতকর্মের জন্য তিনি নিখাদ অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।’ টনি দোষ স্বীকার না করলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা পেতেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিউক্যাসল ইউনাইটেডে ছিলেন টনি। এই ক্লাবে নাম লেখানোর পর সেখান থেকে ধারে খেলেছেন চারটি ক্লাবে। এরপর ২০১৮ সালে পিটারবরো ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে দুই বছর পর তাঁকে কিনে নেয় ব্রেন্টফোর্ড।
২০১৭ থেকে ২০২১—এই পাঁচ মৌসুমে টনি ২৩২টি বেটিং আইন ভেঙেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ সময় তিনি নিউক্যাসল ও পিটারবরোয় নিবন্ধিত থাকলেও ধারে অন্য সব ক্লাবে খেলার সময় জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আগস্ট ২০১৭ থেকে মার্চ ২০১৮–এর মধ্যে ৭টি আলাদা ম্যাচে নিজের দলের হারের পক্ষে টনি ১৩টি বাজি ধরেছিলেন। এর একটি ম্যাচেও তিনি খেলেননি। তবে এর বাইরে টনি আরও ১৫টি বাজি ধরেছিলেন। বাজি ছিল, যে ৯ ম্যাচে তিনি খেলবেন, সব কটিতেই গোল করবেন।
এ ছাড়া ইএসপিএন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে টনি এক বন্ধুকে বলেছিলেন, ক্লাবের পরের ম্যাচে তিনি একাদশে থাকবেন, যেটিকে ‘বড় অপরাধ’ হিসেবে দেখছে এফএ। ক্লাবের একাদশে থাকবেন কি না, সে খবর ক্লাবের বাইরে যাওয়ার কথা নয়। টনি এখন ফুটবলে জুয়া ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এফএর প্রতিবেদনে জানানো হয়, থেরাপির মাধ্যমে জুয়ার সমস্যা সমাধানে তিনি বদ্ধপরিকর।