হাভিয়ের কাবরেরার অধীন ছয়টি ম্যাচ খেলে এখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। চারটি হার, দুটি ড্র। তাই চাপের মুখে আছেন তরুণ এই স্প্যানিশ কোচ। সেই চাপ কাটাতে তাঁর সামনে আছে দুটি ম্যাচ। ২২ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দল ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে কাছাকাছি মানের দল কম্বোডিয়া ও নেপালের সঙ্গে।
দুটি ম্যাচ সামনে রেখে আজ বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দলে এই প্রথম ডাক পেয়েছেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার শাহরিয়ার ইমন। চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা আগেরবার ডাক পেলেও পাসপোর্ট সমস্যায় শেষ পর্যন্ত ছিটকে যান। এক অর্থে তিনিও নতুন। দলে ফিরেছেন তারিক কাজী, মাসুক মিয়া, সুমন রেজা, মতিন মিয়া, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস।
২৭ জনের প্রাথমিক দলে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় ১২ জন। রানার্সআপ আবাহনীর তিনজন। সাইফ স্পোর্টিংয়ের চারজন। শেখ রাসেলের তিনজন। শেখ জামালের দুজন এবং মোহামেডান, চট্টগ্রাম আবাহনী ও বাংলাদেশ পুলিশের একজন করে।
বাদ পড়েছেন মাহবুবুর রহমান, জাফর ইকবাল, পাপন সিং, মারাজ হোসেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় নাবিব নেওয়াজ। বাফুফে ভবনে আজ দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে নাবিব বিষয়ে কোচকে পড়তে হয়েছে নানা প্রশ্নের মুখে। নাবিব নেওয়াজকে যে দলে ডাকেননি তিনি। আগেরবার না হয় কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ক্যাম্পে আসায় বাদ দিয়েছেন, কিন্তু এবার কেন নিলেন না? এবার তো প্রিমিয়ার লিগে দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল নাবিবের। দেশিদের মধ্যে মৌসুমে সর্বোচ্চ ৯ গোল তাঁর। তাহলে নাবিবকে বাদ দেওয়া কেন?
এই প্রশ্নে কাবরেরা বলেছেন, ‘এ সিদ্ধান্ত আমাদের। কোচিং স্টাফের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছি আমরা। আমরা জানি আমরা কী চাই। যে গেম আইডিয়া আছে আমাদের মাথায়, সেটা ভেবেই আমরা দল গড়ছি।’ তার মানে কি দেশসেরা নাবিব কাবরেরার কোচিং–পদ্ধতির সঙ্গে যায় না? কোচের কোচিং–দর্শনের সঙ্গে বেমানান?
এই প্রশ্নে কোচ যা বলেছেন তার সারমর্ম হলো, গোল করার ক্ষমতাই সব নয়। নাবিব তাঁর কোচিং–দর্শনের সঙ্গে যান না। কাবরেরা এসে অবশ্য শুরুতে ডেকেছিলেন নাবিবকে। কিন্তু সর্বশেষ মালয়েশিয়ার সফরের আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বাদ দিয়েছেন। বাদের খাতায় রাখলেন এবারও। নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ছেড়ে বাংলাদেশি হওয়া এলিটা কিংসলি লিগে ৬ গোল করেছেন, তাঁকেও দলে ডাকেননি কোচ। ডাকেননি আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলমকে।
কোচ বারবারই বলেছেন, তাঁর কোচিং–দর্শনের সঙ্গে যারা যায়, তাদেরই ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলতে ভোলেননি, ম্যাচ দুটি জয়ের লক্ষ্যেই প্রস্তুতিতে নামছেন, ‘ম্যাচ দুটি জেতার সুযোগ আছে আমাদের। সে লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব।’
আগামীকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজার ইকবাল হোসেনের কাছে খেলোয়াড়দের রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এই প্রথম উত্তরার একটি হোটেলে আবাসিক ক্যাম্প হবে। অনুশীলন চলবে হোটেলের পাশেই বাংলাদেশ পুলিশ মাঠে।
বাংলাদেশ দল
গোলকিপার: আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ নাইম, আশরাফুল ইসলাম, মাহফুজ হাসান।
রক্ষণভাগ: কাজী তারিক রায়হান, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন আরাফাত, টুটুল হোসেন, রিয়াদুল রাফি, রহমত মিয়া, রিমন হোসেন, রায়হান হোসেন ও ইশা ফয়সাল।
মাঝমাঠ: সোহেল রানা (সিনিয়র), জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া, আতিকুর রহমান, সোহেল রানা (জুনিয়র), হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও বিপলু আহমেদ।
ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা, মতিন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ,শাহরিয়ার ইমন, রাকিব হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।