ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ফুটবল আসর বিবেচনা করার অন্যতম কারণ খেলোয়াড়দের গতি। বল নিয়ে চিতার বেগে কারও ছুটে চলা কিংবা একটা লম্বা টান অনেকে ক্ষেত্রে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়। তাই খেলোয়াড়দের গতি মাঠে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ফুটবলারদের গতি নিয়ে কয়েক বছর ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘অপ্টা’। তাদের হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গতিময় বা দ্রুততম খেলোয়াড় মিকি ফন ডে ফেন।
টটেনহামের এই ডাচ সেন্টার–ব্যাক গত সেপ্টেম্বরে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৭.১ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন। ম্যাচটি ৩–০ গোলে জিতেছিল টটেনহাম।
ম্যাচের ৩ মিনিটেই মিকির বানিয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে টটেনহামকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেনান জনসন, যেটিকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল অ্যাসিস্ট’। কারণ, জনসনকে পাস দেওয়ার আগে নিজেদের রক্ষণ থেকে ৭০ গজ দৌড়েছিলেন মিকি। ২৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার সেই সময়ই ৩৭.১ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন।
গত বছর জার্মান ক্লাব ভল্ফসবুর্গ ছেড়ে লন্ডনের ক্লাব টটেনহামে যোগ দেন মিকি ফন ডে ফেন। প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে হয়েছিল তাঁর অভিষেক। সেই মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসেই সবচেয়ে দ্রুততম ফুটবলার বনে যান। জানুয়ারিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ঘণ্টায় ৩৭.৩ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন, যা কিংবদন্তি স্প্রিন্টার ও বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের গড় গতির চেয়ে মাত্র ০.২০ কিমি/ঘণ্টা কম।
এ মৌসুমে মিকির পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতি তুলেছেন কার্লোস ফোর্বস। উলভারহ্যাম্পটনের এই পর্তুগিজ উইঙ্গার ম্যাচের এক পর্যায়ে ঘণ্টায় ৩৬.৬ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়ের মধ্যে সবচেয়ে গতিময় আর্লিং হলান্ড। নরওয়ের এই স্ট্রাইকার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫.৭ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন। প্রিমিয়ার লিগের ২০ ক্লাবের দ্রুততম ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে ইপসউইচ টাউনের ওয়েস বার্নস। তাঁর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৪.০ কিলোমিটার।
প্রিমিয়ার লিগে গতির ঝড় তোলার দিকে পরিচিত দুটি নাম ফুলহামের আদামা ত্রাওরে এবং ম্যানচেস্টার সিটির কাইল ওয়াকার। তবে এ মৌসুমে তাঁদের গতি অনেকটাই কমেছে। উইঙ্গার ত্রাওরে আছেন ২১তম অবস্থানে। ফুলব্যাক ওয়াকারের অবস্থান ৮০ নম্বরে।