ফ্রান্স ইউরোর সেমিফাইনালে উঠলেও একটা বিষয় ভুলে যেতে চাইবে
ফ্রান্স ইউরোর সেমিফাইনালে উঠলেও একটা বিষয় ভুলে যেতে চাইবে

ইউরো

ফ্রান্স সেমিফাইনালে ওঠার পথে ভুলে যাওয়ার মতো যে রেকর্ড গড়ল

গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ২ গোল পেয়েছে ফ্রান্স। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১–০ গোলের জয়, এরপর নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র এবং গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের সঙ্গে ১–১ ড্র করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে দিদিয়ের দেশমের দল উঠেছিল শেষ ষোলোয়।

গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের কোচ দেশম দলের গোলখরা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছিলেন। কারণ, অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে পাওয়া গোলটি ফ্রান্সের কোনো খেলোয়াড়ের পা থেকে আসেনি, ছিল আত্মঘাতী। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল পেয়েছেন বটে, সেটিও পেনাল্টি থেকে।

এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের খেলা ৫ ম্যাচে নিজেরা যে গোলটি করেছে, সেটি পেনাল্টি থেকে এমবাপ্পের

এরপর শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্স জেতে ইয়ান ভার্তোনের আত্মঘাতী গোলে। আর গতকাল রাতে পর্তুগালের বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও গোল পায়নি ফ্রান্স। গোলশূন্য ড্র ম্যাচ শেষে টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫–৩ গোলে হারিয়ে এমবাপ্পেরা উঠেছে সেমিফাইনালে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ফেললেও ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল করতে পারেননি ফ্রান্সের খেলোয়াড়েরা। এতে একটা রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে ফ্রান্স। প্রথম দল হিসেবে ওপেন প্লে থেকে নিজেরা কোনো গোল না করে ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। এমন রেকর্ড নিশ্চয়ই মনে রাখতে চাইবে না ফরাসিরা।

ওপেন প্লে থেকে ফ্রান্স যে শুধু গোল করতে পারেনি, তা নয়। এমনকি এই পাঁচ ম্যাচে ওপেন প্লে থেকে নিজেরাও কোনো গোল খায়নি তারা। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্রান্স যে একটি গোল খেয়েছে, সেটি পেনাল্টি থেকে করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি।

সেমিফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ স্পেন। এভাবে গোলহীন থেকে তাদের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়াটা ফ্রান্সের জন্য কঠিনই হবে। কারণ, এবারের ইউরোতে এখন পর্যন্ত খেলা ৫ ম্যাচে ১১ গোল করেছে স্পেন। এর একটিই শুধু আত্মঘাতী থেকে পাওয়া, যা এসেছিল ইতালির কাছ থেকে।