ব্যালন ডি’অর হাতে মেসি
ব্যালন ডি’অর হাতে মেসি

ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর

মেসিকে ব্যালন ডি’অর জেতাতে তদবির করেছিল পিএসজি, চলছে তদন্ত

লিওনেল মেসির পিএসজির সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি। গত মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়ার সময় খারাপ থাকার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন মেসি। পিএসজিতে মেসি যোগ্য সম্মান পাননি বলে জানান ক্লাবটির অন্য দুই তারকা নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেও। শেষ পর্যন্ত পিএসজি ছেড়ে গেলেও ক্লাবটির নেতিবাচক প্রভাব যেন মেসির পিছু ছাড়ছে না।

এবার মেসি ও পিএসজিকে জড়িয়ে সামনে এসেছে নতুন এক খবর। সে খবরে বলা হচ্ছে, মেসির ব্যালন ডি’অর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুরস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে তদবির করেছে পিএসজি। এখন এ ঘটনায় ফরাসি ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্তও করছে প্যারিসের আইন বিভাগ।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মঁদ বলেছে, পিএসজি কর্তৃপক্ষ ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সাবেক প্রধান এবং ব্যালন ডি’অরের সংগঠক পাসকেল ফেরেকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। ক্লাবটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে ফেরের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফরাসি ক্লাবটিতে থাকার সময়ই মেসির ব্যালন ডি’অরপ্রাপ্তির আশা ছিল পিএসজির। কারণ, ক্লাবে থাকা অবস্থায় কোনো খেলোয়াড়ের ব্যালন ডি’অর জেতা মানে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়া।

মেসি যখন পিএসজিতে ছিলেন

লা মঁদ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে পিএসজির নতুন যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ফেরেকে পিএসজি বিভিন্ন সময় বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে, যেখানে ম্যাচের টিকিটও অন্তর্ভুক্ত আছে। বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দর্শকবিহীন মাঠের ম্যাচটির ভিআইপি টিকিট দেওয়া হয়েছিল ফেরেকে। পাশাপাশি ২০২১ সালের মার্চে কাতার এয়ারওয়েজের বিজনেস ক্লাসের জন্য কাতার সরকারের দেওয়া আনুমানিক ৮ হাজার ৯৮৬ ইউরোর টিকিটটিও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

আর বিশেষ এই উপহারগুলোর বিনিময়ে পিএসজিতে আসার পর মেসির ব্যালন ডি’অর জিততে তদবির করেছিল ক্লাবটি। এদিকে তদন্তে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ক্লাবের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক জঁ-মার্শিয়াল রিবেসের ওপর, যিনি এ তদবিরের পেছনে মূল কলকাঠি নেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ফেরে এবং তাঁর পক্ষের লোকজন। তাঁদের দাবি, মেসিকে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জেতানোয় তাঁদের কোনো হাত ছিল না। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সাবেক এই প্রধানের দাবি, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ২০২২ সালে পুরস্কার পাননি। আর ২০২১ সালে যেবার মেসি সপ্তম ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন, সেবার ফেরে নিজে ভোট দিয়েছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কিকে।

ব্যালন ডি’অরের জন্য তদবিরের পাশাপাশি পিএসজির বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের নেইমারের দলবদলের সময় কর ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপারে পিএসজিকে সাহায্য করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমিয়ান।