এবারের লিগে নিউক্যাসলকে দুইবার হারিয়েছে লিভারপুল
এবারের লিগে নিউক্যাসলকে দুইবার হারিয়েছে লিভারপুল

নিউক্যাসল ০ : ২ লিভারপুল

১০ জনের নিউক্যাসলকে হারিয়ে জয়ের ধারায় লিভারপুল

১০ মিনিটে প্রথম আর ১৭ মিনিটে দ্বিতীয়- শুরুতেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর যদি প্রতিপক্ষকে ১০ জনের দল হিসেবে পাওয়া যায়, এর পর কি জয় নিয়ে সংশয় থাকে?

লিভারপুলও কোনো সংশয় রাখেনি। একজন কম নিয়ে খেলা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের জালে আর কোনো গোল দিতে না পারলেও মাঠ ছেড়েছে ৩ পয়েন্টের জয় নিয়েই। ব্যবধান ২-০।

এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটি লিভারপুলের ১০ম জয়, নতুন বছরে টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর টানা দ্বিতীয় জয়। যার সুবাদে পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে উঠে এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। আর টানা তিন ড্রয়ের পর ঘরের মাঠের হারের পরও চার নম্বর স্থান ধরে রেখেছে নিউক্যাসল। ২২ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৫, নিউক্যাসলের ২৩ ম্যাচে ৪১।

সেন্ট জেমস পার্কের ম্যাচটির আগে প্রিমিয়ার লিগে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিল নিউক্যাসল। শেষবার হেরেছিল আগস্টে, লিভারপুলের কাছেই। অ্যানফিল্ডের সেই ম্যাচের পর দুই দলের পথচলা ছিল দুই রকম। টানা অপরাজিত থেকে সেরা চারে জায়গা সংহত করে নিউক্যাসল; ১৭ ম্যাচের কোনোটিতে দুই গোলও হজম করেনি দলটি।

লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোডি গাকপো

উল্টোদিকে পয়েন্ট খোয়াতে খোয়াতে ক্লপের দলের ছিল জেরবার অবস্থা। ২০২৩ সালে লিগে লিভারপুলের প্রথম জয় আসে ১৪ ফেব্রুয়ারি এভারটনের বিপক্ষে।

সেই জয়ের ধারাটিই আজ সেন্ট জেমস পার্কে টেনে আনেন দারউইন নুনেজ, কোডি গাকপোরা। ম্যাচের দশম মিনিটে দারুণ এক গোলে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন নুনেজ। দৌড়ের মধ্যে ডি বক্সের বাইরে পাওয়া বল বা পাঁ আর বুকের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড।

এর সাত মিনিট বাদে স্কোরলাইন ২-০ বানিয়ে দেন বিশ্বকাপের পর অ্যানফিল্ডে যোগ দেওয়া ডাচ ফরোয়ার্ড গাকপো। ২২ মিনিটে হয়তো গোল পেয়ে যেতে পারতেন মোহাম্মদ সালাহও। নিউক্যাসল রক্ষণ ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া এই ফরোয়ার্ডকে আটকাতে ডি বক্সের বাইরে চলে আসেন গোলরক্ষক নিক পোপ। বল ধরতে ঝাঁপিয়ে ফাউল করে দেখেন সরাসরি লাল কার্ড।

মোহাম্মদ সালাহকে আটকাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক নিক পোপ

দুই গোল হজমের সঙ্গে একজন খেলোয়াড় কমে যাওয়ার পরও নিউক্যাসল গুটিয়ে যায়নি। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার লিভারপুল রক্ষণে হানা দেয় তারা। দুর্ভাগ্যে দুইবার বল বারে লাগার কারণে গোলবঞ্চিতও হয়।

চোট কাটিয়ে ৭ সপ্তাহ পর লিভারপুলের প্রথম একাদশে ফিরেছেন ফন ডাইক

বিপরীতে গোলের বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন সালাহ, গাকপোরা। বদলি নামা ফিরমিনোও তটস্থ রাখেন প্রতিপক্ষ রক্ষণ। কিন্তু গোল আর পায়নি লিভারপুল। উল্টো ৮১ মিনিটে অ্যালিসন বেকার দুর্দান্ত এক সেভ না করলে গোলও হজম করতে হতো ক্লপের দলকে।

তবে দিন শেষে নিউক্যাসলের মাঠ থেকে ৩ পয়েন্ট তুলতে পারাটাই লিভারপুলের বড় স্বস্তি।