ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয়ের পর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র। যেকোনো বিচারেই এই দুই ম্যাচে সফল মরিসিও পচেত্তিনোর দল।
কিন্তু গত রাতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে এই চেলসিই হেরেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। টটেনহাম ও সিটির বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ায় লন্ডনের ক্লাবটি প্রশংসিত হয়েছিল। এখন তারা আবার সমালোচিত হচ্ছে। এমন হারে রাগে ফুঁসছেন চেলসি কোচ পচেত্তিনো। তাঁর মতে, গতকালই মৌসুমের সবচেয়ে বাজে পারফর্ম করেছে তারা। অন্যদিকে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
সেন্ট জেমস পার্কের ম্যাচটিতে নিউক্যাসলকে ১৩ মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন আলেক্সান্ডার ইসাক। তবে ১০ মিনিট পরই দারুণ ফ্রি-কিকে গোল শোধ করেন রাহিম স্টার্লিং। দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়ে নিউক্যাসল আরও তিনটি গোল দেয়। ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে ৪ গোল দিয়েছে নিউক্যাসল। মৌসুমে ১৩ ম্যাচের পঞ্চম হারে পয়েন্ট তালিকায় দশেই আটকে রয়েছে পচেত্তিনোর দল।
নিষেধাজ্ঞার কারণে নিউক্যাসল ম্যাচে ডাগআউটে থাকতে না পারা এই আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, ‘এই মৌসুমে এটা আমাদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। আমরা কোনো চ্যালেঞ্জই কঠিনভাবে সামলাতে পারিনি। লড়াই করতে পারিনি। আমরা আমাদের ব্যক্তিত্ব ও আসল রূপ দেখাতে পারিনি। আমরা বোঝাতে পারিনি, গুরুত্বপূর্ণ কিছুর জন্য খেলছি। এটাই আমাকে রাগান্বিত ও হতাশ করেছে। এ ধরনের ম্যাচে আমাদের ভালো খেলা শিখতে হবে।’
পচেত্তিনো যোগ করেন, ‘সেরাটা দেখানোর এমন সুযোগ আমরা মিস করতে পারি না। টটেনহাম ও সিটির বিপক্ষে খেলে এসেছি। পুরো দুনিয়ার মানুষ আমাদের প্রশংসা করছিল। স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখাটা কঠিন ছিল। ফল নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ নেই। প্রথম থেকেই ম্যাচটা আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারিনি।’
নিউক্যাসলের বিপক্ষে এমন হারের দায় নিচ্ছেন থিয়াগো সিলভা। ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘আমি বিধ্বস্ত। দিনটা আমাদের জন্য ভালো ছিল না। হারের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাই, বিশেষ করে আমার সতীর্থদের কাছে, যারা আমাকে বিশ্বাস করে ও প্রতিদিন সমর্থন দেয়। হারের দায় আমি নিচ্ছি।’
চেলসির পরের ম্যাচ দুটিও সহজ হবে না। ৩ ডিসেম্বর লিগে তারা খেলবে ব্রাইটনের বিপক্ষে। আর ৬ ডিসেম্বর খেলবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
চেলসি ম্যাচের আগে নিউক্যাসল স্কোয়াডের ১৩ জনই চোটে ভুগছিলেন। তাঁদের কয়েকজন নাকি ম্যাচ খেলার মতো ফিট ছিলেন না। তবে চোট সমস্যা কাটিয়ে এমন জয় পাওয়ায় নিউক্যাসল কোচ এডি হাও বেশ খুশি, ‘এমন পরিস্থিতিতে এই জয় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেসব ফুটবলারকে মিস করছি, সেদিকে যদি তাকান, তাহলে এটা অনেক বড় মাপের পারফরম্যান্স।’