বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচটা পারলে ভুলে যেতে চাইবেন হ্যারি কেইন
বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচটা পারলে ভুলে যেতে চাইবেন হ্যারি কেইন

হ্যারি কেইনের বায়ার্ন অভিষেকে লাইপজিগের শিরোপা–উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ০: ৩ লাইপজিগ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল, ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা, টানা ৮ মৌসুম ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা, লন্ডন ডার্বিতে সর্বোচ্চ গোলের মালিক—টটেনহাম হটস্পার ইতিহাসের কত প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল হ্যারি কেইনের নাম। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লা ভারী হলেও দলীয় অর্জনে ছিল শুধুই শূন্যতা।

শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে একটা ট্রফি জয়ের আশাতেই মূলত টটেনহামের সঙ্গে ১৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন কেইন। গতকালই যোগ দেন বায়ার্ন মিউনিখে। বায়ার্নে নাম লেখানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যে ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রফি জেতার সুযোগও এল তাঁর সামনে। কিন্তু জার্মান ফুটবলে অভিষেক ম্যাচটা যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে চাইবেন কেইন।

বায়ার্নের জার্সিতে কেইনের প্রথম ম্যাচেই শিরোপা–উৎসব করল আরবি লাইপজিগ। দানি ওলমোর হ্যাটট্রিকে জার্মান সুপার কাপে বায়ার্নকে তারা উড়িয়ে দিল ৩–০ ব্যবধানে।

বুন্দেসলিগার মতো সুপার কাপকেও এক রকম নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল বায়ার্ন। এর আগের ৭ বছরে ছয়বারই মৌসুমের সূচনাসূচক ট্রফি জয় সে কথাই বলছিল। নিজেদের ডেরা আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ হওয়ায় এবারও বায়ার্নই ফেবারিট ছিল। কিন্তু স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ওলমোর হ্যাটট্রিকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়ল লাইপজিগ। সুপার কাপে গত বছর তারা ঘরের মাঠে বার্য়ানের কাছে ৫–৩ গোলে হেরেছিল।

কেইনকে অবশ্য শুরু থেকে খেলাননি বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। তরুণ ফরোয়ার্ড মাথিস তেলের বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছেন ম্যাচের ৬৪ মিনিটে। ততক্ষণে বায়ার্নের সর্বনাশ যা করার করে ফেলেছেন ওলমো। তাঁর জোড়া গোলে লাইপজিগ তখন ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।

জার্মান সুপার কাপ জয়ের উচ্ছ্বাস লাইপজিগের

কেইন মাঠে নামতে না নামতেই দুর্ভোগ আরও বাড়ে বায়ার্নের। নিজেদের বক্সে বলে হাত ছোঁয়ান নুসাইর মাজরাউই। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ওলমো।

টটেনহামে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কেইন। ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে যদিও সেটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। নতুন ক্লাব বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরাতে হলে সেই হ্যাটট্রিকের পুনরাবৃত্তি করতে হতো। কিন্তু কেইন এ দিন যেন নিজের ছায়া হয়ে রইলেন।

ম্যাচ শেষে জার্মান সুপার কাপ ট্রফির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কেইন। সেই মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে স্পোর্ট বাইবেল; যার ক্যাপশন, ‘একটা ট্রফির জন্য কেইনের হাহাকার চলছেই...।’ সেই পোস্টে এক ফুটবলপ্রেমীর মন্তব্য, ‘কেইন বায়ার্নকে ইতিমধ্যেই টটেনহাম বানিয়ে ফেলেছেন।’

টটেনহাম ছেড়ে বায়ার্নে এলেও শিরোপার আক্ষেপ রয়েই গেল কেইনের

ক্লাব বদলালেও ভাগ্য বদলাল না কেইনের। তাঁর সামনে এখন পুরো মৌসুমটাই পড়ে। কে জানে, আগামী দিনগুলোতে ইংল্যান্ড ও টটেনহাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার কপালে কী লেখা আছে!