ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শট নেওয়ারই সুযোগ পাননি নেইমার
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শট নেওয়ারই সুযোগ পাননি নেইমার

নেইমারকে আগে পেনাল্টিতে পাঠাতেন ক্রোয়েশিয়া কোচও

নেইমারকে পেনাল্টি নিতে না দেখে ক্রোয়েশিয়ার কোচও কি বিস্মিত হয়েছিলেন?

ম্যাচে ব্রাজিলের পেনাল্টি শটের দায়িত্বটা নেইমারের। গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের প্রথম গোলটিও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু ১–১ সমতার পর খেলা যখন টাইব্রেকারে গড়াল, নেইমার আর শটই নিতে পারেননি।

পারেননি বলতে সুযোগই পাননি। নিয়মানুযায়ী টাইব্রেকার শুরুর আগেই দুই দলকে কোন পাঁচজন শট নেবেন, সেই তালিকা জমা দিয়ে দিতে হয়। লিখে দিতে হয়, কোন খেলোয়াড় কত নম্বর শট নেবেন।

শটের সেই ক্রমধারায় নেইমারকে ৫ নম্বরে রাখেন ব্রাজিল কোচ তিতে। যেটির ব্যাখ্যায় পরে জানিয়েছেন, শেষ শটটি ম্যাচের ফলাফল–নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে ভেবে নেইমারকে শেষের জন্য রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই পর্যন্ত আর দরকারই হয়নি।

ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শট নেওয়া রদ্রিগো আর চতুর্থ শট নেওয়া মার্কিনিওস বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন, বিপরীতে চার শটের চারটিই জালে পাঠায় ক্রোয়েশিয়া। নেইমারের শটের আগেই ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ জিতে যায় ৪–২ ব্যবধানে।

নেইমারকে শুরুর দিকে শট নিতে না পাঠানোয় সমালোচনা চলছে তিতের। সাবেক ফুটবলারদের অনেকেই বলেছেন, প্রথম শটটিতেই নেইমারকে পাঠানোর দরকার ছিল। যাতে পরে শট নেওয়া খেলোয়াড়দের ওপর চাপ কমে।

ম্যাচ শেষে ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচকে জিজ্ঞেস করা হয়, নেইমারকে পেনাল্টি শট নিতে না দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন কি না!
টানা দ্বিতীয়বার ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে তোলা এই কোচ জানান, তিতের সঙ্গে একমত নন তিনি, ‘আমি নেইমারকে শুরুতেই পাঠাতাম।’