এল ক্লাসিকোয় এমবাপ্পের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। কাল রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে
এল ক্লাসিকোয় এমবাপ্পের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। কাল রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে

রিয়াল হারার আগেই ভুলে যাওয়ার মতো রেকর্ডের সঙ্গী এমবাপ্পে

লম্বা সময়ের নাটকীয়তার পর রিয়াল মাদ্রিদে এসে স্বপ্নপূরণ হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের। সেই স্বপ্নের পথে যাত্রার শুরুটা উড়ন্ত না হলেও ইতিবাচকই ছিল।

তবে এই যাত্রায় এমবাপ্পের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মঞ্চটা ছিল গতকাল এল ক্লাসিকোয়। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ–বার্সেলোনার লড়াই দিয়ে লা লিগায় নিজের শ্রেষ্ঠত্বের সূচনা করার সুযোগ ছিল এমবাপ্পের সামনে

দুনিয়াব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের চোখও ছিল তাঁর ওপর। কিন্তু সেই পরীক্ষায় পাস করতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচজুড়ে বার্সা কোচ হানসি ফ্লিকের বানানো কলে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে। আর শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন হতাশা নিয়েই। শুধু দলের হার বা দলের ব্যর্থতাই নয়, এদিন বিব্রতকর কিছু রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এমবাপ্পে।

এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১২ বার অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েছেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা। যেখানে এমবাপ্পে একাই অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন ৮ বার।

এল ক্লাসিকোয় ৮ বার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন এমবাপ্পে

এর মধ্যে দুবার বলও জালে জড়িয়েছিলেন এবং একবার গোল নিশ্চিত ধরে নিয়ে করেছেন উদ্‌যাপনও। কিন্তু সবকিছুর যোগফল হয়েছে শূন্য। খালি হাতে দলের ৪–০ গোলে হারের সাক্ষী হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।

এদিন বার্নাব্যু ছাড়ার সময় এমবাপ্পের নামের পাশে যে ৮টি অফসাইড ছিল, সেটা কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচে তাঁর ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ। আর লা লিগায় গত ৮ বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ অফসাইডের ঘটনাও এটা।

এর আগে সবচেয়ে বেশি অফসাইডের ঘটনা দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ–এইবার ম্যাচে। সেই ম্যাচে রিয়ালের করিম বেনজেমা ৭ বার অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। গতকাল রাতে স্বদেশি বেনজেমার সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছেন এমবাপ্পে। এমনকি বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা প্রথমার্ধেই অফসাইডের ফাঁদে পড়েন ৬ বার।

গোলের বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন এমবাপ্পে

অফসাইডের ফাঁদে পড়ার পাশাপাশি সহজ কিছু সুযোগও মিস করেছেন এমবাপ্পে। বিশেষ করে ওয়ান টু ওয়ানে তাঁকে বারবার নিরাশ করেছেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনা। এখন সামনের ম্যাচগুলো দিয়ে এল ক্লাসিকোতে ব্যর্থতার ধাক্কা এমবাপ্পে কীভাবে সামাল দেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।